দেওয়ান রানা, মদন(নেত্রকোনা) প্রতিনিধি :
নেত্রকোনার মদনে শংকর দাস (২৮) নামে এক ভুয়া মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে আটক করা হয়েছে ।
সে মদন পৌর সদরের স্বদেশ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডা: সাধন কুমার মন্ডল এমবিবিএস (ঢাকা)পিজিটি (মেডিসিন),সিএমইউ ( আল্ট্রা),বিএমডিসি,রেজি: নং- এ ১১৩০৯৯ এর প্যাড ব্যবহার করে অবাধে চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাচ্ছেন। এমন ভুয়া ডাক্তারের সংবাদের প্রেক্ষিতে শনিবার সকালে স্বদেশ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে থেকে জনতা শংকর দাসকে আটক করে নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে যান। সে ডাক্তার না, ভুল করে এমন কাজ করেছে বলে সকলের কাছে স্বীকার করেন।
স্বদেশ ডায়াগনস্টিক ক্লিনিকটির মালিক পক্ষের কাইয়ুম জানান, ৭ মার্চ থেকে এ যাবত আমাদের ক্লিনিকে ডা: সাধন কুমার মন্ডল এর বিএমডিসি রেজি: নং ব্যবহার করে ৩৩৫ জন রোগী দেখেন শংকর দাস। উনাকে শুরু থেকেই কাগজপত্র দেখাতে বলে আসছি। তিনি একটি রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়েছেন। আমরা সার্চ করে দেখলাম উনি যে রেজি: ব্যবহার করছেন উনার ছবির সঙ্গে মিল পাওয়া যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে উনাকে বলা হলে উনি আমাদের আগের ছবি তোলা বলে জানান। আমরাও উনার কাছে প্রতারণার স্বীকার হয়েছি।
মদন হাসপাতালে আর এমও ডাক্তার তায়েব হোসেন জানান, সে কোনো চিকিৎসক নন। সে মূলত একজন প্রতারক। তার কথায় বিষয়টি প্রমাণিত। মেডিসিন,মা,ও শিশু,চর্ম,যৌন রোগ অভিজ্ঞ ডাঃ সাধন কুমার মন্ডল এর নাম ও রেজিস্ট্রেশন ব্যবহার করেছে। সে কোন মেডিকেল কলেজের ছাত্রও নয়।
ভুয়া ডাক্তার পরিচয়দানকারী ডা: সাধন কুমার মন্ডল সাংবাদিকদের বলেন, আমার প্রকৃত নাম শংকর দাস। আমার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ি উপজেলায়। সুমেশ দাস এর ছেলে আমি। বর্তমানে ঢাকায় বসবাস করি। আমি একজন মেডিকেল কলেজের ছাত্র।
ভুয়া পদবি ও ঠিকানা ব্যবহার করায় আমার ভুল হয়েছে। আমার টাকার সমস্যা ছিল তাই আমি এ কাজ করেছি। মেডিসিন,মা,ও শিশু,চর্ম,যৌন রোগ অভিজ্ঞ বলেছি। সত্যিকার অর্থে আমি কোনো চিকিৎসক নই। স্বদেশ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকরা আমার মতামত ছাড়াই তারা প্যাড ছাপিয়েছে।
মদন থানার ওসি উজ্জ্বল কান্তি সরকার জানান, যার নাম পদবী ব্যবহার করে শংকর দাস চিকিৎসা চালিয়েছেন তিনি চট্রগ্রাম থেকে মদন থানার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। উনার অভিযোগের প্রেক্ষিতেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইউএনও মোঃ শাহ আলম মিয়া জানান, শংকর দাস প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দোষ স্বীকার করেছেন। তাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রকৃত সনদধারী মামলা দায়ের করবেন।