সোমবার, মে ২০, ২০২৪

পাথরঘাটায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাইবার মামলা প্রতিবাদে মানববন্ধন

যা যা মিস করেছেন

মোঃ মহিবুল ইসলাম,পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি:
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা প্রেসক্লাবের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও আর টিভির পাথরঘাটা প্রতিনিধি তাওহীদুল ইসলাম শুভসহ পৃথক মামলায় পাথরঘাটার ৭ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধ ও প্রতিবাদ কর্মসুচি পালন করা হয়েছে। শনিবার সকাল ১০ টার সময় পাথরঘাটা উপজেলা প্রেসক্লাবের আয়োজনে শেখ রাসেল স্ক্যয়ারে এ মানববন্ধ কর্মসুচি পালন করেন। মানববন্ধনে সংবাদিক, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রায় শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

পাথরঘাটা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি জয় বিশ^াসের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, পাথরঘাটা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম কাকন, সাধারন সম্পাদক আরিফ তৌহিদ, সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম খোকন, ইমাম হোসেন নাহিদ, নজমুল হক সেলিম, জাকির হোসেন খান, আমল তালুকদার প্রমুখ।

মামলার আসামীরা হলেন, পাথরঘাটা উপজেলা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক ও আরটিভি পাথরঘাটা প্রতিনিধি তাওহীদুল ইসলাম শুভ, দৈনিক আলোকিত প্রতিদিন এর প্রতিনিধি জিয়াউল ইসলাম, দৈনিক সংবাদ পত্রিকার পাথরঘাটা প্রতিনিধি জাফর ইকবাল, দৈনিক মানবজমিন প্রতিনিধি জাকির হোসেন খান, আজকের পত্রিকার পাথরঘাটা প্রতিনিধি তারিকুল ইসলাম রাকিব, মোহনা টিভির প্রতিনিধি সুমন মোল্লা, কালবেলা প্রতিনিধি আল আমিন ফোরকান।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের সদস্য শহিদুর রহমানের গরুতে প্রতিবেশী হানিফার জমির সুর্যমুখি ফুল খাওয়াকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে ঝামেলা হয়। এর পরে সাংবাদিক গিয়ে সংবাদ প্রচার করলে সেই সংবাদের সুত্র ধরে পাথরঘাটা উপজেলা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক ও আরটিভি প্রতিনিধি তাওহীদুল ইসলাম শুভ সাথে পূর্ব সত্রæতা থাকায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় তাওহীদুল ইসলাম শুভ ও আলোকিত প্রতিদিনের প্রতিনিধি জিয়াউল ইসলামসহ একাধীক লোকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে হয়রানী করে আসছেন। শহিদুর রহমান একজন নারী লোভী এবং ভুমি দস্যু। সে নিজের চাচী শ^াশুড়ী ও ছাত্রের মাসহ একাধীক নারীকে বিয়ে করেছেন।

তারা আরো বলেন, চরদুয়ানী উইনিয়েনের এক নারীকে সৌদি প্রবাসী আল মামুন তার এলাকার মনিরের স্ত্রীর উপরে কু-নজর পরে। পরে ওই নারীর স্বামীকে সৌদি নিয়ে নারীর সাথে মুঠোফোনে কু-প্রস্তাব দেয়। পরে ফাদে ফেলে তাকে একটি বাসায় এক মাস আটকে রেখে ধর্ষন করে এবং দার স্বামী মনিরকে তালাক দিতে বলে। তালাক না দিলে শুরু হয় মামলা দিয়ে হয়রানী। এক পর্যায় ওই নারী সাংবাদিকদের কাছে এসে সংবাদ সম্মেলন করলে সেই সংবাদ সম্মেলন সূত্রধরে সাইবার ট্রাইবুনালে আজকের পত্রিকার প্রতিনিধি তারিকুল ইসলাম রাকিব, মোহনা টেলিভিশনের সুমন মোল্লা, কালবেলা আল আমিন ফোরকানের নামের সাংবাদিকদের মামলা করেন মামুন এর চাচাতো ভাই।

এছাড়া বিভিন্ন সময় মানবজমিন প্রতিনিধি জাকির হোসেন খান, দৈনিক সংবাদ পত্রিকার জাফর ইকবালকে মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছেন সমাজের কিছু চরিত্রহীন, ভুমি দস্যু, ও নারী লোভীরা। তাদের মুখোশ উন্মোচন করায় আজ পাথরঘাটার সাংবাদিকরা সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলার মাদ্যমে হয়রানীর শিকার হচ্ছে। এ সকল হয়রানী মুলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারা এবং বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা বতিলের দাবি জানানো হয়।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

সর্বশেষ

Exit mobile version
x
This Site Is Protected By
Shield Security