চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে দাইপুখুরিয়া ইউ পি সদস্য সাদ্দাম হোসেনসহ তিন জনের উপর হামলার ঘটনায় ২৮ তারিখ শিবগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে ইউ পি সদস্য সাদ্দাম হোসেনের পিতা নুরনবী বিশ্বাস বাদী হয়ে তিন জনের নাম উলেক্ষ করে এজাহা দায়ের করে। এঘটনায় ৫ দিনেও গ্রেফতার হয়নি আসামি ।
মামলা সূত্রে জানাযায়, গত শনিবার রাতে মটর সাইকেল যোগে কানসাট যাওয়ার পথে মোবারক পুর ইউনিয়ন শিকার পুর গায়ডহড়া এলাকায় পৌঁছালে উৎপাতে থাকা সন্ত্রাসীরা দাইপুখুরিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য নূরনবী বিশ্বাসের ছেলে সাদ্দাম হোসেন ও তার সহযোগী একই গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে দোয়েল ও তোফিকুল ইসলামের ছেলে টমাস ওতর্কিতভাবে দেশীঅস্ত্র হাসুয়া ও রড দিয়ে হামলা চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দুইজনে অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। এঘটনায় বিনোদনগর গ্রামের মোঃ আকরামুল এর ছেলে এনদাদুল হক, মন্তাজ আলীর ছেলে মিঠুন, মৃত্যু সুলতান আলীর ছেলে আকরামুল ও ৯/১০ জন অজ্ঞাত এবং তিন জনের নাম উল্লেখ করে সাদ্দাম হোসেন পিতা নূরনবী বিশ্বাস বাদী হয়ে এজহার দাখিল করে ।
আহত ইউ পি সদস্য সাদ্দাম হোসেন জানান, শিবগঞ্জ যাওয়ার পথে মোবারক শিকারে পৌঁছালে আমাদের মোটরসাইকেলের গতি রোধ করে আমাদের তিনজনের হাত পা বেঁধে রড দিয়ে বেধড়ক মারধর শুরু করে আমাদের জবাই করে দেওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করে ।গামছা দিয়ে মুখ ঢাকা এক ব্যক্তি আমি জীবন রক্ষার্থে তার গামছা হাত দিয়ে টেনে দেখলে মিঠুন কে চিনতে পারি কিন্তু ৮/৯ জন ব্যক্তি ছিল তাদেরকে চিনতে পারিনি। এ ঘটনা এমদাদুল হকের হুকুমে মিঠুনের নেতৃত্বে পূর্ব শত্রু তার জেরে আমাদের উপর হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা চালাই।এ ঘটনায় আমার বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে কিন্তু পুলিশের কোন ভূমিকা নেই । পুলিশ আসামিদের কে গ্রেফতার করছে না। এটি ছিল আমার উপর পূর্ব পরিকল্পিত হামলা ।
অভিযুক্ত এনদাদুল হক, মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন।
শিবগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ সাজ্জাদ হোসেন জানান, সাদ্দাম হোসেনের বাবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাটির তদন্তধীন রয়েছে । এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।