নাগরপুর(টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: বিএমএসএস সাংবাদিকদের একমাত্র সর্ব বৃহৎ সংগঠন। বাংলাদেশ মফস্বর সাংবাদিক সোসাইটি ২০২৪-২০২৫ সেশনের সদ্য ঘোষিত কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের গ্রন্হণা ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. আমজাদ হোসেন রতন ও উপ স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক ডা.এম.এ.মান্নান দায়িত্ব পেয়েছেন।
বুধবার(২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ঢাকায় নতুন কার্যনির্বাহী পর্ষদের প্রথম সভায়,সকলের মতামতের ভিত্তিতে ঢাকাসহ সারাদেশের
প্রবীণ-প্রথিতযশা সাংবাদিক সংগঠকদের নিয়ে ৪০১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটির অংশ বিশেষ ৩২৫ সদস্যের তালিকা অনুমােদনের পর রাতে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা-চেয়ারম্যান খ. আছিফুর রহমান তোতা ও মহাসচিব মো. ছগীর আহমেদ স্বাক্ষরিত সংগঠনের প্যাডে প্রকাশ করা হয়।
সাংবাদিক দ্বয়ের সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ
সাংবাদিক আমজাদ হোসেন রতন:
তিনি নাগরপুর উপজেলা ঘিওরকোল গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জম্ম গ্রহন করেন। দুই কন্যা সন্তানের জনক।
কর্মজীবনঃ সাংবাদিক রতন চাকুরির সুবাদে দীর্ঘদিন ভিন্ন ভিন্ন দেশে প্রবাস জীবযাপন করেন। বর্তমানে সাংবাদিকতার পাশাপাশি সদর বাজারে মোবাইল টেকনিশিয়ান হিসাবে নিজস্ব প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত।
সামাজিক জীবনঃ সমাজ উন্নয়নে কয়েকটি সামাজিক সংগঠনের নেত্বত্ব দিয়ে আসছেন।
সাংবাদিকতা জীবনঃ সাংবাদিকতা পেশায় তিনি সর্বজনীন একজন সিনিয়র সাংবাদিক হিসাবে কর্মরত। তিনি প্রায় ৩৩ বছর যাবত সাংবাদিকতার মত সাহসী ও মহান পেশায় নিয়োজিত আছেন। তিনি নাগরপুর প্রেস ক্লাব এর প্রতিষ্ঠাকালীন যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ছিলেন, সাবেক নাগরপুর প্রেস ইউনিট সভাপতি। বর্তমানে সম্মানিত সদস্য নাগরপুর প্রেসক্লাব । এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি ও দুই বাংলা সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সাংবাদিকতা পেশায় জাতীয় সাপ্তাহিক যুবকন্ঠর উপজেলা প্রতিনিধি হিসাবে শুরু করে বর্তমানে, জাতীয় দৈনিক ডেল্টা টাইমস, দৈনিক জবাবদিহি, সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো, মাসিক ডিজিটাল তারিফ বার্তাসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে নিয়মিত সংবাদ প্রেরণ করে আসছেন।
সাংবাদিকতায় ভারত সফরঃ সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদান রাখায় ইন্টারন্যাশনাল সার্ক জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন এর আমন্ত্রণে ভারতে সম্মাননা স্বারক(রত্ন অ্যাওয়ার্ড ‘১৯), বিহার ও প্রেস ইন্ডিয়া, কোলকাতা হতে সম্মাননা স্মারকসহ দেশীয় সাংগঠনিক কাজে সম্মাননা স্মারক অর্জন করেন।
সাংবাদিক রতনের সম্পর্কে গণমাধ্যম সম্পাদকদের অভিমতঃ সাপ্তাহিক চলনবিলের আলোর সম্পাদক ও প্রকাশক মো. রফিকুল ইসলাম রনি বলেন, আমার সাংবাদিকতার জীবনে যে কয়েকজন সাংবাদিক আমি দেখেছি তারমধ্যে সাংবাদিক রতন হচ্ছে অন্যতম। তিনি আরও বলেন, প্রতিষ্ঠান হতে ইতিমধ্যে বর্ষশেরা ‘২১ সংবাদদাতা হিসেবে সম্মাননা স্মারক, সনদ দেয়া হয়। দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনে তিনি একজন সৎ, মহৎ ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ লেখনি সাংবাদিক।
সাংবাদিক ডা.এমএ মান্নান:
তিনি নাগরপুর উপজেলার দুয়াজানী কলেজ পাড়ার মুসলিম পরিবারের সন্তান। তিনি দুই সন্তানের জনক।
শিক্ষা জীবনঃ
সিটি বিশ্ববিদ্যালয়, গণ বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যের উপর অর্নাস ও মাস্টার্স এবং আইন শাস্ত্রে ভাল ফলাফল নিয়ে উর্ত্তীণ হয়েছেন। এছাড়াও তিনি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল শাস্ত্রে টাংগাইল হোমিও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ নয় বছর চিকিৎসা বিষয়ে লেখাপড়া করেছে। এছাড়ও পিডিটি(মেডিসিন)বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা লাভসহ মা ও শিশু, মাইন্ড মেথড, সিবিটি, ডিবিটি প্রশিক্ষন নেন। তিনি একজন প্রথম শ্রেণীর রেজিস্টার্ড চিকিৎসক।
সাংবাদিকতা শিক্ষাঃ জার্নালিজম স্কুল, পিআইবিসহ প্রতিষ্ঠানে সাংবাদিকতা পেশাগত উন্নয়নে দুই বছর লেখাপড়া করেন।
সাংবাদিকতা ও চাকুরী জীবনঃ সাংবাদিকতা শুরু হয় ২০০৯ সালে, সাপ্তাহিক কালের আয়না নাগরপুর প্রতিনিধি হিসেবে। দৈনিক নয়া দিগন্ত, দৈনিক আজকের কাগজ, সাপ্তাহিক বর্ণমালা, সাপ্তাহিক সোনার বাংলা, মাসিক পৃথিবীসহ বিভিন্ন দৈনিক, সাপ্তাহিক পত্রিকায় কাজ করেন। বর্তমানে সাপ্তাহিক চলবিলের আলো স্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক সংগ্রাম,পূর্বাকাশ উপজেলা প্রতিনিধি,সরকারি নিবন্ধিত পোর্টাল দ্যা মেইল বিডিসহ দুটি আইপি টিভিতে কর্মরত আছেন।বর্তমানে নাগরপুর উপজেলা জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সম্মানিত সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।এছাড়াও ইংরেজি বিভাগের একজন রিসোর্স শিক্ষক হিসাবে একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন।
সাংবাদিক ডা.এম.এ.মান্নান সম্পর্কে সাংবাদিক নেতা, চিকিৎসক নেতাদের অভিমত-
চিকিৎসক নেতা অধ্যাপক ডা. তোফাজ্জল হোসেন বলেন- আমার প্রিয় ছাত্রদের মধ্যে ডা.মান্নান অন্যতম।
চলনবিলের আলোর সম্পাদক ও প্রকাশক মো.রফিকুল ইসলাম রনি বলেন-আমরা মানবিক সাংবাদিক ‘২১ ডা.এম.এ.মান্নানকে ঘোষণা করেছি। আমি তার দীর্ঘায়ু ও সফলতা কামনা করছি।