লিমন সরকার ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি ঃ ভুল চিকিৎসা দিয়ে দেড় লাখ টাকা মুল্যের একটি বিদেশী ষাঁড গরু মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তরের প্রাণি সম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডাঃ সানজিদ হাসানের বিরুদ্ধে। এমন অভিযোগ এনে বুধবার বিকালে ঐ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক।
অভিযোগ করা হয়, পীরগঞ্জ পৌর শহরের রঘুনাথপুর মহল্লার সলেমান আলী মন্টুর ছেলে লুৎফর রহমানের প্রায় দেড় লাখ মুল্যের একটি ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় গরু গত সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। এতে ষাঁড়ের মালিক উপজেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তরের প্রাণি সম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডাঃ সানজিদ হাসানের সরনাপন্ন হন। ডাঃ সানজিদ সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে লুৎফরের বাড়িতে যান এবং চিকিৎসা হিসেবে ৬ প্রকারের ইনজেকশন ও ট্যাবলেট দেন। এরপর ষাঁড়টি সুস্থ্য না হয়ে আরো অসুস্থ হয়ে পড়লে বিকাল সাড়ে ৬ টার দিকে ষাঁড়ের মালিক আবারো ঐ চিৎিসকের সাথে যোগাযোগ করেন। তখন বিকাশ নামে একজনকে তার বাড়িতে পাঠান ডাঃ সানজিদ। বিকাশ গিয়ে ষাঁড়টি আবারো ৩/৪ টা ইনজেকশন দেন। এরপর ষাঁড়টি কাঁপা কাঁপি শুরু করলে ডাঃ সানজিদকে ফোন করেন ষাঁড়ের মালিক। এ সময় ডাক্তার ফোন ধরেন নি। এ অবস্থায় ঐদিন রাত ৯ টার দিকে ষাঁড়টি মারা যায়। পরদিন মঙ্গলবার ষাঁড়ের মালিক প্রাণি সম্পদ দপ্তরে এসে ডাঃ সানজিদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তাকে শান্তনা না দিয়ে গালিগালাজ করে তাড়িয়ে দেন।
এ বিষয়ে পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ খাইরুল আনাম জানান, অভিযোগটি তদন্তের জন্য একজন উপ-পরিদর্শককে দেয়া হয়েছে।
অভিযোগ সঠিক নয় দাবী করে উপজেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তরের প্রাণি সম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডাঃ সানজিদ হাসান জানান, ভুল চিকিৎসায় নয়, অন্য কোন কারণে ষাঁড়টি মারা যেতে পারে।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ রনজিত কুমার সিংহ প্রাণি সম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডাঃ সানজিদ হাসানের পক্ষ নিয়ে বলেন, স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা করিয়ে গরুর অবস্থা খারাপ করার পর ডাঃ সানজিদকে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি জরুরী চিকিৎসা দিয়েছেন। কাজ হয়নি। মারা গেছে। এতে করার কি আছে ?।
এ বিষয়ে জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিষয়টি তার জানা নাই। তাছাড়া ডাক্তার ভুল চিকিৎসায় গরু মারার কথা নয়।