মনিরুজ্জামান খান গাইবান্ধা, গাইবান্ধায় বালু উত্তলনের নিউজ করায় ৩ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ২ মাস পর মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করলেন বালু ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম।
উল্লেখ্য,গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ভাবে নদীর বাধ ঘেষে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তলন করে আসছেন , রানা মিয়া ওরফে (বালু রানা) নামে খ্যাত, এ-র সহযোগী জাহাঙ্গীর আলম,গোলাম আজম, জিয়াউর রহমান,শরীফ মিয়া,সহ বেশকজন বালু ব্যবসায়ী কোটি কোটি টাকার বালু অবৈধভাবে উত্তলন করে বিক্রি করে আসছিল। এতে দিনে রাতে কাকড়া,জাম্মট্রাক,দিয়ে রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করলে রাস্তা নষ্ট সহ দুর্ঘটনার শিকার হয় পথচারী।এতে স্থানীয় ভাবে বাদা দিলে তাদের নামেও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে বালুমহল এই চক্রটি।
এরই ধারাবাহিকতায় গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানী নিয়ে বালু উত্তোলনকারী ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে গত (১৭ ফেব্রুয়ারী) স্যাটেলাইট টেলিভিশন আনন্দ টিভিতে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচারের পর অনলাইন পোর্টালসহ বিভিন্ন পত্রিকায় নিউজ প্রকাশিত হলে গত (২৫ ফেব্রুয়ারী) বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা হয়।
এরপর ইউএনও একাধিকবার অভিযান চালিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেয়।সেই সাথে অবৈধভাবে বালু উত্তলন কারীদের বিরুদ্ধে জরিমানা করে ১৫ লক্ষ টাকা। এই ঘটনার প্রায় আড়াই মাস পর ক্ষুদ্ধ হয়ে বালু ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম ও তার সহযোগীরা বাদী হয়ে
গাইবান্ধা সদর থানায় তিন সাংবাদিকের নামে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন,
আজ( ২৪ এপ্রিল) বুধবার জাহাঙ্গীর নামের একজন বালু ব্যবসায়ী বাদি হয়ে আনন্দ টিভির জেলা প্রতিনিধি ও গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মিলন খন্দকার, দ্যা ডেইলি ট্রাইবুন্যাল মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক সুমন মিয়া,ও দৈনিক নাগরিক ভাবনার জেলা প্রতিনিধি রিয়ন ইসলাম (রকি) এর বিরুদ্ধে গাইবান্ধা সদর থানায় মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন যাহার মামলা নং-৩২,
তিন সাংবাদিকের নামে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দায়ের হওয়ায় গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিউল ইসলাম, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা ( বাবস) এর জেলা সংবাদদাতা সরকার মোঃ শহিদুজ্জামান, কালবেলার সাংবাদিক নেয়ামুল আহসান পামেল,বাংলাভিশনের ফিরোজ কবীর মিলন, নাগরিক টিভির আনোয়ার হোসেন শামীম, এশিয়ান টিভির সুমন মন্ডল, প্রতিদিনের সংবাদের মুকুল মাসুদ, ইংরেজি পত্রিকার দ্য ডেইলি পোস্টের জেলা প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান খান সহ স্থানীয় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, সংবাদ প্রকাশের জেরে চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে সাংবাদিককে হয়রানি করা খুবই দুঃখজনক। পাশাপাশি বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা থেকে নিঃশর্ত অব্যাহতির আহ্বান জানান তারা।