তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুর খান ইউনিয়নের হুগলিয়া হতে জঙ্গলবাড়ি পর্যন্ত ৭০০ মিটার রাস্তা ৭০ লাখ টাকার বরাদ্দের তৈরি করা হচ্ছে খুবই নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে। সেখানে বালির বদলে মাটি, ইটের মান যা ছিল তা না দিয়ে নিম্ন মানের মাটির মত ইটের শুকড়ি দেওয়া হচ্ছে, যে পরিমাণ ইট ব্যবহারের কথা ও ঢালাই করার ক্ষেত্রে যে সাইজের ইটের টুকরা ব্যবহার করার কথা তা না দিয়ে দিনের আলোয় কাজ না করে রাতে আঁধারে কাজ করে চলেছে এমনটাই অভিযোগ এলাকাবাসীর। নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা নির্মাণের কাজ। এলাকাবাসী রাগে ক্ষোভে ফুঁসছে এবং প্রতিবাদ ও করছেন, কিন্তু কাজের কাজ সুফল পাচ্ছেন না। স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আরাফাত হোসেন রবিন এলাকাবাসীর অভিযোগে নিজে উপস্থিত হয়ে কাজের অনিয়ম দুর্নীতি কথা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে ও অনিয়মের কথা জানিয়ে কাজ বন্ধ করান। এবং উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে অনিয়ম ও দুর্নীতি হবে না মর্মে ক’দিন পর আবার ও কাজ শুরু করলেও এই সেই যোগফল শূন্য। ইউপি চেয়ারম্যান আরও জানান, আমি কয়েক দফা কথা বলে ঘুরে ফিরে একই রকমের কাজ করেছে দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছে আমি ক্লান্ত হয়ে পড়ছি।
এলাকাবাসী ইসহাক সরদার, তৈয়বুর রহমান অভিযোগে জানান, আমরা কথা বললে শুনে না, চেয়ারম্যান ও বাঁধা দিয়ে ক’দিন কাজ বন্ধ করেন। কিন্তু এক অদৃশ্য শক্তির কাছে পরাজিত হয়ে আবারও অনিয়মের কর্মযোগ্য চালিয়ে যাচ্ছে। তার মধ্যে যদি পিচ ডালাইয়ের কাজ ও করে ফেলেন তাহলে আর কখনো এই রাস্তা নষ্ট হলে নতুন করে হবে কি না জানি না! এখানে ব্যাপক নিম্ন মানের সামগ্রী ও যেভাবে কাজের কথা চুক্তি ছিল সেদিকে কিঞ্চিত পরিমাণ ও আশেপাশে নেই। পুরাতন বিল্ডিং ভাঙ্গার পরিত্যক্ত ইট দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন। এভাবে কাজ সম্পন্ন করা হলে ক’দিন পর রাস্তা হয়েছে বলে মনে হবে না।
জানা যায়, শ্রীমঙ্গলের ঠিকাদার দেবাংশু সেন’ নামের একজন ওই কাজ করাচ্ছেন। কাজটি শুরু করার পর থেকে কাজের গুনগত মান নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এ নিয়ে এলাকাবাসীদের সাথে কথা হলে ক্ষোভ ঝাড়েন সংশ্লিষ্টদের ওপর। আবার অনেকেই সংশ্লিষ্টদের ভয়ে মুখ খুলতেও সাহস পায়নি। কেউ কেউ ওই নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজে বাঁধা দিলেও তা শুনেনি ঠিকাদার। উল্টো চাঁদাবাজির মামলা দেওয়া হবে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসির দাবি আবারো খুব দ্রুত টেকসই কাজ করা হোক। বর্ষা আসার আগেই সংস্কার চান তারা, না হলে আবারও ভুগতে হবে ওই এলাকার মানুষদের।
স্থানীয় গ্রামের মুরব্বি আব্দুল কুদ্দুস সহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, আমরা নিম্নমানের কাজ দেখে ঠিকাদার ও উপজেলা প্রকৌশলীকে বহুবার বলেছি তারা কোন কর্ণপাত করেনি। তারা তাদের মত কাজ করেছে। এমনকি ইন্জিনিয়ারকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি বলেছেন যেভাবে কাজের সিডিউল আছে সেভাবেই তারা কাজ করবে। এমনটাই বলছিলেন স্থানীয়রা।
এবিষয়ে ঠিকাদার দেবাংশু সেন কাজ করানোর কথা থাকলেও তিনি অন্য একজন মিরপুরের বাসিন্দা ছালেক মিয়া নামক একজনকে সাব কন্টাক্টে দিয়ে দেয় এমনি একজনের সাথে কথা বলে জানা যায়। এসব বিষয়ে দেবাশু সেন বলেন, যে জায়গায় অসংগতি পাওয়া গেছে তা আবারও নতুন করে করিয়ে দেবেন বলে জানান। অন্যদিকে সাব কন্টাক্টে ওই কাজ করানো ঠিকাদার এর পক্ষের একজনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা ফুট হিসেবে কাজ করছি। বাকি সব আমাদের জানা নেই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রকৌশলী ইউসুফ হোসেন খান এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি সহকারী প্রকৌশলীকে পাঠিয়ে যে স্থানে নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহার হয়েছে সে স্থানে নতুন করে কাজ করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানায়।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবু তালেব এবিষয়ে বলেন, অনিয়ম করে কাজ করার কোন সুযোগ নেই। এমন কিছু হলে ঠিকাদার এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।