বান্দরবানে সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জনগণের শান্তি রক্ষার যা করণীয়, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় তা করা হবে, কোনো সন্ত্রাসীকে ছাড় দেওয়া হবে না।
রোববার (৭ এপ্রিল) সকালে বান্দরবান সেনাজোন মাঠে সাংবাদিকদের সঙ্গে সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে ব্রিফিং করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, যা আমাদের করণীয় আমরা সব করছি। যৌথবাহিনীর অভিযান চলছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে শনিবার (৬ এপ্রিল) রাতে কয়েকটি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে এবং কয়েকজন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এসময় সেনাপ্রধান আরও বলেন, কেএনএফের সঙ্গে শান্তি আলোচনা চলছিল, কিন্তু আলোচনা শেষ হওয়ায় আগে এ অশান্তি শুরু হয়েছে। দ্রুত অশান্তি কেটে যাবে এবং শান্তি ফিরে আসবে।
এসময় সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তারা উপস্থিতছিলেন।
এর আগে সেনাপ্রধান হেলিকপ্টারে করে ঢাকা থেকে বান্দরবান সেনা রিজিয়নে পৌঁছান। পরে রিজিয়ন কার্যালয়ে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।
অন্যদিকে সকাল থেকে বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও লুট করা টাকা ও অস্ত্র উদ্ধারে যৌথবাহিনীর অভিযান শুরু হয়েছে।
যৌথ বাহিনীর অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করে বান্দবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী জানান, অভিযান শুরু হয়েছে। শিগগিরই আসামিদের ধরা হবে।
মঙ্গলবার (০২ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে ৭০-৮০ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী রুমা উপজেলা পরিষদ এলাকা ঘেরাও করে। তারা সোনালী ব্যাংকে গিয়ে পাহারারত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের কাছ থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেয় এবং মারধর করতে থাকে। ব্যাংকে ঢুকে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। সেই সঙ্গে ব্যাংকের ম্যানেজারকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
গত বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে থানচি উপজেলার সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি করেছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাত পৌনে ১টার দিকে বান্দরবানের আলীকদম থানার ডিম পাহাড়ের ২৬ মাইল এলাকায় পুলিশ ও সেনাদের যৌথ তল্লাশিচৌকিতে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।
স্থানীয় জনগণ ও প্রশাসনের ধারণা,এ ঘটনা নব্য বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ঘটিয়েছে।