স্বীকৃতি বিশ্বাস,যশোরঃ
বিভিন্ন সরকারী চাকুরী দেওয়া প্রলোভন দেখিয়ে প্রার্থীদের নিকট থেকে চেক ও স্ট্যাম্প গ্রহনকারী প্রতারক চক্রের ২ সদস্য পলাশ কুশারী (৪৩) ও বুলবুল আহমেদ (৪৬) কে আটক করেছে যশোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টীম।
গ্রেফতারকৃত পলাশ কুশারী যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার হাকোবা গ্রামের সন্তোষ কুশারীর ছেলে ও বুলবুল একই উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের মৃত শামসুল মোড়লের ছেলে।
ঘটনার বিবরণ অনুযায়ী চলমান পুলিশ কনষ্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রতারক চক্রকে সনাক্ত পূর্বক এসআই আব্দুল্লাহ আল-মামুনের নেতৃত্বে একটি চৌকশ টিম গোপন তথ্যের ভিত্তিতেগতকাল বৃহস্পতিবার (৪ঠা এপ্রিল) বিকাল থেকে মনিরামপুর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সরকারী চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রার্থীদের প্রতারণা পূর্বক চেক ও ষ্ট্যাম্প গ্রহণকারী প্রতারক চক্রের ২ সদস্যকে আটক করে তাদের হেফাজত থেকে ৩১০টি খালি নন-জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্প ( যাহাতে বিভিন্ন ব্যক্তির স্বাক্ষর করা), ১০০টি ব্যাংক চেক, ১৪৭ টি প্রবেশ পত্র ( যার মধ্যে যশোর জেলায় পুলিশের কনষ্টেবল নিয়োগের প্রবেশ পত্র -১৭টি) উদ্ধার পূর্বক জব্দ করেন।
এই সংক্রান্ত বিষয়ে কেশবপুর উপজেলার মাজিদপুর গ্রামের ভুক্তভোগী শ্যামল দাস বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করলে মনিরামপুর থানায় ৪২০/৪০৬/৪৬৭ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার নম্বর -৮।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, চক্রের সদস্যরা সংঘবদ্ধভাবে যশোর জেলা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সরকারী চাকুরী প্রত্যাশীদের নিকট থেকে প্রবেশপত্র সংগ্রহ করে মোটা অংকের টাকা চুক্তি করে অগ্রীম টাকা না নিয়ে ব্লাংক চেক ও ষ্ট্যাম্প নিয়ে প্রতারণা করে আসছে। তাদের উদ্দেশ্য ব্লাংক চেক ও ষ্ট্যাম্প নেওয়া ব্যক্তিদের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় চাকুরী হয়ে গেলে তারা প্রার্থীদের নিকট থেকে চুক্তিবদ্ধ টাকা হাতিয়ে নিত। ভুক্তভোগী শ্যামল দাসের ছেলে সৌরভ কুমার দাস ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ তারিখে বাংলাদেশ পুলিশ কনষ্টেবল পদে যশোর জেলায় প্রার্থী ছিল, তাকে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ১৩ লক্ষ টাকা চুক্তি করে ব্ল্যাংক চেক ও ষ্ট্যাম্প গ্রহণ করে চক্রটি।