সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::
কোনো প্রকার ভোগান্তি আর হয়রানি ছাড়াই সেবা মিলছে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার ৩নং ফেনারবাক ইউনিয়ন পরিষদে৷ নাগরিক সুবিধা প্রাপ্তির জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্মনিবন্ধন সনদ, মৃত্যু সনদ, চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রদত্ত পরিচয় পত্র, নাগরিকত্ব সনদ কিংবা ট্রেড লাইসেন্সসহ নানা সনদ আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্ধারিত সময়েই পেয়ে যাচ্ছেন স্থানীয় নাগরিকগণ৷ পাশাপাশি সরকার প্রদত্ত সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা বিনামূল্যে ভুক্তভোগীদের মাঝে বিতরণ করেছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল চন্দ্র তালুকদার ও ইউপি সদস্যগণ। নাগরিকদের সেবা গ্রহণ করতে ধরতে হচ্ছে না কোনো দালালদের, ফলে সহজেই কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেন নাগরিকরা৷ এতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সেবা গ্রহীতাগগণ।
সরজমিন ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে গেলে ভোগান্তি ছাড়াই সেবা পাওয়ার কথা জানান কয়েকজন ভুক্তভোগী। তারা বলছেন, অন্যান্য ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম নিবন্ধন থেকে শুরু করে সকল সেবা গ্রহণ করতে নানান ভোগান্তি আর হয়রানির শিকার হতে হয়। কিন্তু ফেনারবাক ইউনিয়ন পরিষদের কোনো সেবা নিতে হয়রানির শিকার হতে হয় না। এই ইউনিয়ন থেকে করুনা সিন্ধু তালুকদার ফেনারবাঁক ইউনিয়ন পরিষদ এর ৭ বারের নির্বাচিত ও সুনামগঞ্জ জেলার ২বারের স্বর্ণপদক পাপ্ত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। পরে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন তার পুত্র কাজল চন্দ্র তালুকদার, তিনিও বিপুল ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমানে ইউপি চোয়ারম্যান কাজল চন্দ্র তালুকদারের প্রচেষ্টায় প্রতিনিয়ত সেবা পাচ্ছেন নাগরিকগণ।
রাজাপুর গ্রামের সাঈদুর রহমান বলেন, কিছু দিন আগে বাচ্চার জন্ম নিবন্ধন করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে গিয়েছিলাম, সরকার নির্ধারিত মূল্যে ভোগান্তি ছাড়াই সেবা পেয়েছি। এতে পরিষদের প্রতি আমাদের আস্থা ফিরেছে।
গজারিয়া গ্রামের বাসিন্দা দিলোয়ার হোসেন বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান কাজল চন্দ্র তালুকদার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর পরই নাগরিক সেবা বেড়েছে। সরকার নির্ধারিত মূল্যে যথাসময়ে সেবা পাচ্ছে মানুষজন।
পরিষদে সেবার মান বেড়েছে উল্লেখ করে হটামারা গ্রামের বাসিন্দা কামরুল ইসলাম জানান, আগের তুলনায় সেবা অনেক বেড়েছে। সঠিক সময়ে জন্ম নিবন্ধন, নাগরিকত্ব সনদ সহজেই পাওয়া যাচ্ছে।
২নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল চন্দ্র তালুকদার এর দিকনির্দেশনায় পুরো পরিষদের সদস্য গণ সবসময় জনগণের সেবায় নিয়োজিত আছেন। একজন ইউপি সদস্য হিসেবে আমিও সবসময় সঠিক সময়ে সঠিক সেবাটা দেওয়ার চেষ্টা করছি। পরিষদে সেবা নিতে আসা সেবাগ্রহীতারা ভোগান্তি ছাড়াই সকল সেবা পাচ্ছেন।
ফেনারবাক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল চন্দ্র তালুকদার বলেন, আমি সবসময় চেষ্টা করি সঠিক সময়ে সরকারের বিভিন্ন সেবা ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বাসিন্দাদের দেওয়ার। পরিষদের সকল সদস্যদেরও বলেছি সেবা নিতে আসা সেবাগ্রহীতারা যেন সেবা পেতে ভোগান্তিতে না পরেন। তারাও কথামতো যথাযথ সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। সরকার প্রদত্ত সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় সকল সুবিধা বিনামূল্যে সঠিক ব্যক্তির হাতে পৌঁছে দেওয়া জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, এই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আমার বাবা ৭ বারের নির্বাচিত ও সুনামগঞ্জ জেলার ২বারের স্বর্ণপদক পাপ্ত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। বাবার ঐতিহ্য ধরে রাখতে পরবর্তীতে আমি চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছিলাম, জনগণের আস্থা এবং বিশ্বাস আছে বলেই তারা আমাকে বিপুল ভোটের মাধ্যমে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন। এজন্য তাদের কাছে আমি দায়বদ্ধ। তাদের কাঙ্খিত সেবা দিতে কখনও পরিষদের কোনো সদস্যের গাফিলতি করার সুযোগ নেই।