মো. জসিউর রহমান (লুকন)
টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ সৎ ছেলেকে হত্যা করাতে লোকজন ভাড়া করার অভিযোগ উঠেছে সেলিনার এর বিরুদ্ধে।
টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার কলিয়া গ্রামের
আব্বাসের ছেলে সজীব (২৫) কে হত্যা করার জন্য লোক ভাড়া করেন সৎ মা সেলিনা।

গত ২২ মার্চ শুক্রবার বিকেলে উপজেলার শুনশী এলাকায়, পরিকল্পিত এ হত্যা কান্ডটি সংগঠিত হতে গিয়েও পুরো পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে গিয়েছে। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় বিরাজ করছে নানা গুঞ্জন ও চাপা ক্ষোভ।
৪ লক্ষ টাকার বিনিময়ে সেলিনা (সৎ মা) যে সব লোক ভাড়া করেছিলেন তারাই সজিবকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন, একটাই জানিয়েছেন ভুক্তভোগী সজীব।

নাটকীয় এ লোমহর্ষক ঘটনায় পুরো গ্রামের ছোট-বড় নারী-পুরুষ সকলের মাঝে শুধু একটাই কথা, এ ঘটনার কি ন্যায় বিচার হবে না? এই মহিলার কি কিছু হবে না?

সজীব ও এলাকাবসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, গত শুক্রবার বিকেলে সজীবকে ডেকে নিয়ে যায় ভাড়া করা সেই লোকেরা। হত্যা করার আগে সজীবকে দেখে মায়ায় পড়ে তাদের পরিকল্পনা পরিবর্তন হয়ে যায়। সজীবকে ভাড়াটিয়া লোকেরা বলে পুরো ঘটনা। সাজিবের সামনেই সেলিনাকে ফোন দিয়ে হত্যার বিষয়ে কথা বলে শুনায়। তারা বলেন, তোমার ছেলেকে ধরে এনে অজ্ঞান করে ফেলে রেখেছি, তুমি বাকি টাকা নিয়ে চলে আসো। তখন সৎ মা সেলিনা বলেন, টেনুকে পাঠাচ্ছি, টেনু গিয়ে তোমাদের বাকি টাকা দিয়ে আসবে। তোমারা তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করো। এভাবেই লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা করছিল সজীব।

তিনি আরও বলেন, আমাকে হত্যা করার জন্য টাকার বিনিময়ে মা যাকে ভাড়া করেছিলেন সেই লোকটি ফেরেশতার মত আমাকে প্রাণ ভিক্ষা দিয়েছে।
এমনভাবে পরিকল্পনা করতে পারে তা কোনদিন বিশ্বাস করতাম না কিন্তু সামনাসামনি যখন ফোনে ওনাদের কথা শুনে আমি বিশ্বাস করে, আত্মগোপনে ছিলোম।

এখন আমি জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি এ ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করছি।

প্রবাসী সজীবের বাবার সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি এ ব্যাপারে সজীবকে কথা বলতে নিষেধ করেন এবং নিজেও কথা বলতে রাজি হননি।

সজিবের মামা বলেন, ঘটনার পরপরই সজীব আমাদের জানিয়েছে তারপর থেকেই সজীব ভয়ে ভয়ে থাকছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি জানাচ্ছি। এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, ওই মহিলাটি স্বভাব চরিত্র ভালো না ওই মহিলাটি এরকম ঘটনা ঘটাতে এটা অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। অনেক বছরের পরোকিয়া সম্পর্ক টেনুর সাথে। এছাড়াও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক আরো তো আছেই।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version