শৈলকুপা, ঝিনাইদহ
নামেই তালপুকুর মূলত ঘটি ডোবেনা। বাস করি প্রথম শ্রেণির পৌসভায়। দীর্ঘদিন অযন্ত অবহেলায় পড়ে আছে রাস্তাঘাট। এলোপাতারী নোংড়া আবর্জনার ছড়াছড়ি, বিকট গন্ধে ডাস্টবিন এলাকায় দাঁড়ানো কঠিন হলেও টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের। সম্প্রতি দোকানীরা নিরুপায় হয়ে নিজ নিজ দায়িত্বেই পোড়াতে শুরু করেছে আবর্জনা। দোকানের সামনে ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় দেখা যাচ্ছে আগুনের স্তুপ। কখনো মানুষ থাকে কখনো ধরিয়ে দিয়ে আশপাশের কাজে চলে যায়। অথচ একটু অবহেলার কারনেই ঘটতে পারে ভয়াবহ দূর্ঘটনা। জলন্ত আগুনের পাশ দিয়ে ছুটে চলে দানবীয় বালির ট্রাক কিংবা ছোটবড় বিভিন্ন যানবাহন। এসব গাড়ির গতিতে ছিটকে যেতে পারে আগুন। কিছু দূর দূর গেলেই দেখা মেলে নিয়মিত আগুন দেয়ার স্তুপ। শহরের মোড়ে মোড়ে এ দৃশ্য এখন স্বাভাবিক। পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে- বিগত সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় প্রতিপক্ষরা হাবিবপুর নির্ধারিত স্থান অবৈধভাবে আটকে দিয়েছে, ময়লা ফেলতে দেয়না। হাবিবপুরের অভিযুক্তরা বলছে পৌর কর্তৃপক্ষের অভিযোগ ভিত্তিহীন উক্ত ময়লার ভাগার সংলগ্ন মাছের খামার রয়েছে, যা বিধিমালা মেনে লিজ দিয়েছে পৌরসভা। সেকারনে মাছের খামারি তাঁর ব্যবসায়িক প্রয়োজনে ময়লা ফেলতে সাময়িক নিষেধ করেছেন। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, একই স্থান পৌরসভা মাছের খামার লিজ দিয়ে অর্থ উপার্জন করবেন নাকি ময়লা ফেলবেন- কোনটি?
কার্যত আমরা পৌরবাসি রাজনৈতিক যাঁতাকল অথবা তাদের কৌশলগত অবস্থানের কারণে ভোগান্তি পোহাচ্ছি। এ বিষয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কোন টু শব্দ করতে দেখা যায়নি। অপরদিকে পরিচ্ছন্নকর্মীরা মানবেতর জীবনযাপন করছে এবং অপরিচ্ছন্ন বাজার ব্যবসায়ীরা আগুনের ঝুঁকি নিয়ে সময় কাটাচ্ছে।