আবু বকর ছিদ্দিক রনি, শার্শা প্রতিনিধিঃ
যশোর সদর উপজেলার গোবিলা মধ্যপাড়ায় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা শিমুল হোসেন হত্যার ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। নিহতের স্ত্রী নাছরিন আক্তার (৪১) ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরো ৪/৫জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন।
আসামিরা হলো, গোবিলা গ্রামের মৃত জমির আলী বিশ্বাসের ছেলে বুলবুল হোসেন (৪৮), মৃত হযরত আলী গাজীর ছেলে নাইম হোসেন (২৫), মৃত জয়নাল বিশ্বাসের ছেলে এনামুল কবির (৫০), মৃত সিরাজ গাজীর ছেলে সোহরাব হোসেন (৫০), নিছার আলী বিশ্বাসে ছেলে চঞ্চল (৪৬) ও সাজিয়ালী পূর্বপাড়ার মৃত ইমান আলীর ছেলে হযরত আলী (৫০)।
নাছরিন আক্তার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, তার স্বামী শিমুল হোসেন কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। গত ৯ মার্চ তার স্বামী বাড়ির সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। আসামি নাঈম হোসেন হেড লাইট বন্ধ করে মোটরসাইকেলে চালিয়ে এসে তার স্বামীর শরীরে উঠিয়ে দেয়। এতে তিনি সামান্য আহত হন। পরে এ নিয়ে তর্ক হলে নাঈম তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এজাহারে আরো বলা হয়, গত ২১ মার্চ বিকেল ৫টার দিকে তার স্বামী গোবিলা বাজারে যান। সেখানে আসামি বুলবুলকে মাদক ব্যবসা করতে নিষেধ করায় তার সাথে তর্কবিতর্ক হয়। বুলবুল তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। ওইদিন রাতে তার স্বামী গ্রামের জমির আলীর বাইসাইকেলের পেছনে বসে বাড়িতে ফিরছিলেন। রাত সোয়া ৮টার দিকে গ্রামের তরিকুল ইসলামের বাড়ির সামনে পৌঁছালে বুলবুল প্রথমে একটি গাছি দা দিয়ে তার স্বামীকে কোপ মারে। পরে নাঈমসহ অন্যান্য আসামিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা পালিয়ে যায়। পরে তার স্বামীকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এই মামলার প্রধান দুই আসামি বুলবুল হোসেন ও নাঈম হোসেনকে আটক করেছে যশোর পিবিআই। গত শুক্রবার তাদের ঢাকা থেকে আটক করা হয়।