বকশীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ রাহিন হোসেন রায়হান।
একটুখানি বৃষ্টিতেই সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। সড়কের দুই পাশে অপরিকল্পিতভাবে ইটভাটা গড়ে ওঠায় সড়কের এই বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে।
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় বাট্টাজোড় ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের গোয়ালগাঁও ফজিলতপাড়ায় একটুখানি বৃষ্টি হলেই রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। চলাচলের একটিমাত্র রাস্তার এই বেহাল দশা হওয়াতে জনদুর্ভোগ পোহাচ্ছে এলাকাবাসী। এই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত এলাকাবাসী, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, কোমলমতি শিশু ও আবাল বৃদ্ধ বনিতারা যাতায়াত করে। সরেজমিনে এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শুষ্ক মৌসুমী মাটির রাস্তা দিয়ে চলাচল করা গেলেও বর্ষাকালে এই সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে ওঠে। একটুখানি বৃষ্টি হলেই রাস্তার বেহাল দশা পরিলক্ষিত হয়। রাস্তাটি দীর্ঘদিন যাবত সংস্কার না হওয়ায় চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে করে ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা, ভ্যান ও মোটরসাইকেল আরোহীদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। বৃষ্টিতে রাস্তাটি দিয়ে চলাচল বেশ কষ্টসাধ্য ও ছোটখাটো অ্যাক্সিডেন্টের মতো ঘটনা ঘটছে। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বললে তারা জানায়, কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী সহ এলাকাবাসীরা এই পথেই যাতায়াত করে থাকে। অসুস্থ বয়স্ক মানুষদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যাওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়। বকশীগঞ্জের সব জায়গায় উন্নয়ন হলেও এই সড়কটির কোন উন্নয়ন হয় নাই। সড়কের কোন উন্নয়ন না হওয়ায় প্রতিবছর বর্ষার পানি ও কাদায় সড়কটি একাকার হয়ে থাকে ফলে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। মাঝেমধ্যই এই রাস্তায় ভ্যান গাড়ি, মোটরসাইকেল সহ বিভিন্ন যানবাহন সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এই বিষয়ে উক্ত এলাকায় বাট্টাজোর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মোখলেছুর রহমান জুয়েল তালুকদারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, রাস্তাটি বড় তাই মেরামত করতে সময় লাগবে। তবে অল্প কিছুদিনের মধ্যে আমি মাটি ভরাট করে এই রাস্তাটির সংস্কারের কাজ করব। আমার সময়ই মেরামত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি দ্রুততার সাথে এই রাস্তাটি সংস্কার করা হোক।