স্বীকৃতি বিশ্বাস, যশোরঃ
যশোর পিবিআই কর্মকর্তারা মাগুরা জেলা থেকে ইজিবাইক ছিনতাইচক্রের পাঁচসদস্যকে আটক করে ছয়টি ইজিবাইক উদ্ধার করেন।
আটককৃতরা হলো- গোপালগঞ্জ জেলার কেকানিয়া গ্রামের রাফি শেখ রাব্বি, ঘোড়াদিয়া গ্রামের আশিকুর রহমান শাকিল, মাগুরার খালিয়া গ্রামের আমিনুর ইসলাম, এমেছ লস্কর ও সাতদোহাপাড়া গ্রামের নাইমুল ইসলাম। এসময় পিবিআইএর উপস্থিতি টের পেয়ে এ চক্রের আরও দুই সদস্য মাগুরার বিনোদপুর গ্রামের বাবু শেখ ও এরশাদ শেখ পালিয়ে যায়। এই সাতজনের বিরুদ্ধে মণিরামপুর থানায় মামলা করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা বলে যশোরের বিভিন্ন এলাকায় ইজিবাইক ছিনতাই করে। প্রথমে যাত্রী সেজে ইজিবাইকে উঠে চালকের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলে তুলে কথার ছলে পানি কিংবা জুসের সাথে চেতনানাশক ঔষুধ মিশিয়ে খাওয়ায় চালককে। এরপর অচেতন হয়ে পড়া চালককে রাস্তায় ফেলে ইজিবাইক নিয়ে চম্পট দেয় তারা। এখানেই শেষ না, ওই ইজিবাইক শোরুমে তুলে জাল কাগজপত্র তৈরী করে তা বিক্রি করে তারা।
আজ শনিবার (১৬ মার্চ) তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
পিবিআই যশোরের এসআই রেজওয়ান জানিয়েছেন, মণিরামপুরের একটি ইজিবাইক ছিনতাই হয়। এঘটনায় পিবিআই যশোরের অফিসে অভিযোগ করে ভুক্তভোগিরা। এরপর তারা অনুসন্ধান চালায়। একপর্যায় মাগুরা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ওই পাচ আসামিদেও আটক করা হয়। এবং একই সাথে ওই ইজিবাইকগুলো উদ্ধার করা হয়।
পিবিআই আরও জানায়, তাদের মধ্যে রাব্বি ও শাকিলসহ আরও কয়েকজন যশোর জেলার মণিরামপুর ও কেশবপুর এলাকা থেকে ইজিবাইক ছিনতাই করে সরাসরি চলে যায় মাগুরায়। পরে সেসব ইজিবাইক আমিনুর ও এমেছের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা একসাথে ওইসব পুরাতন বাইক গুলো নাইমুলের শিকদার অটো হাউজে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে জালকাগজপত্র তৈরী করে চোরাই বাইক বৈধবলে বিক্রি করে।
এদিকে, একটি ইজিবাইকের মালিকের সন্ধান পেলেও অপর পাঁচটি ইজিবাইকের মালিককে খুঁজছে পিবিআই যশোরের সদস্যরা। খোয়া যাওয়া ইজিবাইক ফিরে পেতে পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণ নিয়ে পিবিআই অফিসে যোগাযোগের আহবান জানিয়েছেন পিবিআই কর্মকর্তারা।