ডা.এম.এ.মান্নান
নাগরপুর (টাংগাইল)সংবাদদাতা:
টাঙ্গাইল জেলা জামায়াতে ইসলামীর বার্ষিক রুকন সম্মেলন অনেক সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে,আলহামদুলিল্লাহ।
শুক্রবার(৮ই মার্চ)সকালে শহরের একটি সভা কক্ষে বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী টাঙ্গাইল জেলা শাখার বার্ষিক রোকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশের সূরার অন্যতম সদস্য ও টাঙ্গাইল জেলার আমীর আহসান হাবিব মাসুদ এর সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি মোঃ হুমায়ুন কবীরর পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে গুরুত্বপূর্ন বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সহকারি সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা এটিম মাসুম।এসময় তিনি বলেন আল্লাহতালা মানুষকে শ্রেষ্ঠ মানুষ অর্থাৎ আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে সৃষ্টি করেছেন এজন্য যে মানুষের কাছ থেকে উনি দিনে হকের জন্য খেদমত করিয়ে নিতে চান। আল্লাহতালা মানুষকে এবাদতের জন্য এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন যেন আমরা দুনিয়ায় এবাদত সফলভাবে করব এবং পরকালের পুরস্কার পাবো। এই পৃথিবীতে সবচেয়ে উত্তম এবাদত হচ্ছে আল্লাহর দুনিয়ায় আল্লাহর দ্বীনকে প্রতিষ্ঠা করা। আল্লাহতালা মানুষকে সর্বোত্তম জাতি হিসেবে সৃষ্টি করেছেন এজন্য যে মানুষ মানুষকে সৎ কাজে আদেশ দেবে এবং অসৎ কাজ থেকে মানুষকে বিরত রাখবে। দিনের কাজ মানুষকে পরিপূর্ণভাবে করতে হবে আংশিক করলে কাজ হবে না অর্থাৎ পরিপূর্ণভাবে ইসলামকে মেনে চলতে হবে আর জীবনের কোন অবস্থাতেই শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করা যাবে না। জীবনের সকল ক্ষেত্রে ইসলামকে মেনে আমাদের জীবন অতিবাহিত করতে হবে। আল্লাহতালা যখন রূপ সৃষ্টি করলেন তখন প্রত্যেক গ্রহ থেকে আল্লাহতালা পদ গ্রহণ করেছিলেন আমি কি তোমাদের রব নই তখন সকল রূপ বলেছিল হ্যাঁ আপনি আমাদের রব ঠিক তেমনি আমরা রুহের জগতে যখন আল্লাহর কাছে ওয়াদা করেছি সে ওয়াদার পরিপূর্ণতার জন্য পৃথিবীতে এসে আমরা রোকনিয়াতের শপথ অর্থাৎ আল্লাহর কাছে করলাম। আর এই শপথ রক্ষার জন্য আমাদেরকে দুনিয়ার সকল কাজকে গৌণ করে শপথের আলোকে জীবনটাকে মুখ্য করে অর্থাৎ এক নাম্বারে আনতে হবে এতেই আমরা দুনিয়ার আখরাতে কামিয়াব হতে পারব। দুনিয়াতে মানুষকে খাওয়া-দাওয়া ফুর্তি করার জন্য পাঠানো হয়নি একটু ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালনের জন্য দুনিয়াতে পাঠানো হয়েছে মানুষকে তাই এর আলোকেই আমরা শপথ নিয়েছি। যুগে যুগে পূর্বের সকল নবীগন তাদের উম্মতদেরকে এই শপথ দিয়েছিলেন। এই কাজের পরিপূর্ণ বিধান করেন আমাদের নবী মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ সাঃ এবং তিনিও সাহাবায়ে কেরামদেরকে এই শপথ দিয়েছিলেন। রোকনিয়াতের শপথ থেকে জামাত ইসলামের কর্মীরা আলাদা হতে পারে না, শপথ হচ্ছে গায়ের চামড়ার মত এটা কোন পোশাক নয় যে ইচ্ছা হল পড়লাম ইচ্ছে হল খুলে ফেলে দিলাম। আল্লাহ আমাদের সকলকে শপথের আলোকে জীবন পরিচালনা করার তৌফিক দান করুন,আমিন।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা আমীর আহসান হাবিব মাসুদ বলেন, রোকনিয়াতের শপথ নিতে হলে অবশ্যই ঐ ব্যক্তিকে ঋণ মুক্ত থাকতে হবে প্রয়োজনে নিজের জমি বিক্রি করে হলেও ঋণ পরিশোধ করতে হবে অর্থাৎ কোন প্রকার ঋণ থাকা রোকন হওয়া যাবে না। আমরা রোকনিয়াতের শপথ নিয়েছি নিজেকে মহসীন পর্যায়ে উন্নীত করার জন্য আর এর জন্য উত্তম সময় আমাদের সামনে তা হল মাহে রমজান। আল্লাহ তায়ালা বলেন মাহে রমজান মাস আসে মানুষের তাকওয়া অর্জনের জন্য। তাই আমাদেরকে এই রমজান মাসে এমন পরিবর্তন করতে হবে যেন আমরা মহসীন পর্যায়ে উন্নীত হতে পারি। বার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য আমাদের সম্মানিত অঞ্চল পরিচালক যা বললেন তা যেন আমরা পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করতে পারি। মুহতারাম জেলা আমীর সবাইকে উক্ত সম্মেলনে উপস্থিত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের অন্যতম সদস্য অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ, জামায়াত ইসলামী কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের অন্যতম সদস্য, কেন্দ্রীয় ওলামা বিভাগ ও মসজিদ মিশনের অন্যতম সেক্রেটারি জেনারেল ড. খলিলুর রহমান মাদানী প্রমুখ।