ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) একাডেমিক দুই অনুষদ ভবনের মাঝে ‘বৈশাখী মঞ্চ’ স্থাপন না করার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১ টায় অনুষদ ভবন এবং ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভবনের মাঝে এই মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন বিভাগের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।

এই সময় শিক্ষার্থীদের হাতে, ‘মুক্ত মঞ্চ মুক্ত পরিবেশে চাই, একাডেমিক ভবনের পাশে নয়; ‘ক্যাম্পাসের গাছ কাটলো কেনো? প্রশাসন জবাব চাই; ‘সংস্কৃতি চাই, তবে পড়ালেখার পরিবেশ নষ্ট করে নয়; ‘গাছ বাচঁলে বাঁচবে দেশ, সুন্দর হবে পরিবেশ; ‘ক্লাস চলাকালীন সময়ে উচ্চশব্দে গান বাজনা বন্ধ করুন, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষা করুন ইত্যাদি দাবি সম্বলিত প্লা-কার্ড দেখা যায়।

জানা গেছে, অনুষদ ভবন এবং ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভবনের মাঝে বৈশাখী মঞ্চ তৈরীর পরিকল্পনা করেছে কর্তৃপক্ষ। আর এজন্য গত রোববার ওই স্থান থেকে প্রাচীন একাধিক গাছ কর্তন করা হয়। এর প্রতিবাদে গত সোমবার (৪ মার্চ) কর্তনকৃত গাছ নিতে বাধা প্রদান করে শিক্ষার্থীরা। পরে সেখানে একে একে অবস্থান কর্মসূচি, মানববন্ধন, ব্যঙ্গচিত্র ও স্মারকলিপি প্রদান করে ক্যাম্পাসের রাজনৈতিক, সামাজিক ও পরিবশবাদী সংগঠনগুলো।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দু’টি একাডেমিক ভবনের মাঝখানে মঞ্চ তৈরি একেবারে অপ্রাসঙ্গিক। এতে শিক্ষার্থীদের ক্লাস পরিক্ষায় বিঘ্ন ঘটবে। মুক্ত মঞ্চ হবে খোলামেলা পরিবেশে একাডেমিক ভবনের পাশে নয়। গাছ না কেটে সুপরিকল্পিতভাবে বিশ^বিদ্যালয়ের অন্যান্য ফাঁকা জায়গায় এটা করতে পারতো । কিন্তুু যা করা হয়েছে তা লেখাপড়া ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।

এদিকে মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় কর্তনকৃত স্থানে ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির ৫টি গাছ লাগিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদ। এর আগে বৃক্ষ নিধণের প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি ও সংবাদ বিবৃতি দিয়েছিল সংগঠনটি। এছাড়া এই ঘটনার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মঞ্চ তৈরির পক্ষে বিপক্ষে এবং বিকল্প স্থান কোথাই হবে এই সম্পর্কে গণমতামত নেন ছত্রমৈত্রী ইবি শাখা। অধিকাংশ শিক্ষার্থী অন্যত্র মঞ্চ স্থাপনের পক্ষে মত দিয়েছেন বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।

এদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষের দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করেছে বিশ^বিদ্যালয়ের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো জোট ‘ঐক্যমঞ্চ’। এতে প্রশাসনের কাছে ছয় দফা দাবি উপস্থাপন করে সংগঠনটি।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version