প্রতিনিধিঃ রাহিন হোসেন রায়হান:
শেরপুরের শ্রীবরদী থানায় কাকিলাকুড়া ইউনিয়নে গবরাকুড়া আকন্দ কলম আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও স্কুল ম্যানেজমেন্টের সভাপতি নইম উদ্দিন আকন্দের গাফিলতিতে এসএসসি পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত হলো ১৪জন শিক্ষার্থী।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি (বুধবার) দুপুরে উক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আ্যডমিট কার্ড সংগ্রহের জন্য উপস্থিত হলে তারা জানতে পারে ১৪ জন শিক্ষার্থীর আ্যডমিট কার্ড এখনো হাতে পায় নাই এবং তাদের আ্যডমিট কার্ড হয় নাই বিভিন্ন প্রকার তালবাহানা মূলক কথা বলতে থাকে তৎক্ষণাৎ ১৪জন শিক্ষার্থী বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে কান্নাকাটি শুরু করে দেয়।
এই খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সহ এলাকার লোকজন জড়ো হয়ে শিক্ষকদের ওপর চড়াও হয়। উক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিজেদের বাঁচাতে গা ঢাকা দেয় এবং প্রধান শিক্ষককে এলাকার লোকজন এবং শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগণ বিদ্যালয়ের কক্ষে আটকে রাখে। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বললে জানা যায়, ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক জুলফিকার হায়দারের দায়িত্বে এই কাজটি ছিল তিনি দায়িত্বের গাফিলতি করায় এই উদ্ভূত সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক কিছুই জানেন না।
তিনি এর সঙ্গে কোন ভাবেই দায়ী নন। অত্র বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকদের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, যেটা কেরানির দায়িত্ব ছিল সেই কাজটা অন্য শিক্ষকের হাতের নাস্ত করায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিনে বিদ্যালয় ঘুরে অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের থেকে জানা যায়, অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক জুলফিকার হায়দারের গাফেলতির কারণে পরীক্ষা দেওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
পরবর্তীতে স্কুল কমিটির সভাপতি নইমুদ্দিন আকন্দের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এ ব্যাপারে আমরা চেষ্টা করছি যাতে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারে এবং দায় সারা কথা বলেন।
উক্ত ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য এলাকার কিছু টাউট বাটপার প্রকৃতির লোক ব্যাপক দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছে। বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে চিৎকার চেঁচামেচিতে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক শোকের মাতম দেখা দিয়েছে। ঘটনার জন্য দায়ী শিক্ষক জুলফিকার হায়দারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ মোঃ কাইয়ুম খান সিদ্দিকীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনা সত্যতা স্বীকার করেন এবং উক্ত বিদ্যালয়ে পুলিশ ফোর্স পাঠিয়ে বিষয়টি শান্ত করার চেষ্টা করছেন। এ বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন।