হযরত আলী,লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
জীববৈচিত্রের এক অপরূপ সৌন্দর্যে নিহিত রয়েছে এ পৃথিবী। মানব কল্যাণের জন্যই সৃষ্টি করা হয়েছে সমস্ত জীববৈচিত্র। তেমনি বাহারি রকমের শাক সবজির মধ্যে আবহমানকাল থেকেই ঢেঁকি শাক খুব জনপ্রিয় সবার কাছে।
মাঝে মাঝে লক্ষ করা যায় কিছু ঢেঁকি শাক বিক্রেতা বিভিন্ন জায়গা থেকে এই ঢেঁকি শাক সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করতে নিয়ে আসে। স্বাদ আর উপকারিতায় ভরপুর এই ঢেঁকি শাক।
আর এই ঢেঁকি শাক বিক্রি করে ২৫ বছর ধরে জীবিকা নির্বাহ করছেন উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার মদাতী ইউনিয়নের
চামটাহাট এলাকার ইয়াকুব আলী (৬০) নামে এক বৃদ্ধ।
বাবার সাথে বাঁশের কাজ ছেড়ে ৩৫ বছর বয়স থেকে ঢেঁকি শাক বিক্রি করতে শুরু করেন ইয়াকুব আলী। স্ত্রী, ১ ছেলে ও ১ মেয়ে নিয়ে তার সংসার ছিলো, শাক বিক্রি করে ভালোই চলছিলো তার সংসার। এই শাক বিক্রির টাকা জমিয়ে বিয়ে দিয়েছেন একমাত্র মেয়ের, নিজে শাক বিক্রি করে পরিবার চালাতে হিমসিম খাওয়ায় শাক বিক্রির টাকায় ছেলেকে কিনে দিয়েছেন অটো, ছেলেও বিয়ে করেছেন। বর্তমানে ছেলের ও তার উপার্জনের টাকায় চলছে ৬ সদস্যের পরিবার।
বছরের বৈশাখ মাস থেকে আশ্বিন মাস পর্যন্ত ঢেঁকি শাক বিক্রি করেন তিনি। বাকি সময়টা বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে বাঁশ,নারিকেল ও খেড়ের তৈরি ঝাড়ু বিক্রি করেন।তিনি প্রতিদিন বিকেলে হাতীবান্ধা উপজেলার বন্দর বাসস্ট্যান্ডে এই ঢেঁকি শাক বিক্রি করেন, এবং প্রতিদিন সকালে বেড়িয়ে পড়েন শাক সংগ্রহ করতে। হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে এই ঢেঁকি শাকগুলো সংগ্রহ করেন তিনি।শাক বিক্রি করে দৈনিক আয় করেন ৫ শত টাকা, এবং মাসে তার আয় আসে ১৫ হাজার টাকা।
শাক বিক্রেতা ইয়াকুব আলী (৬০) বলেন, ২৫ বছর ধরে এই ঢেঁকি শাক বিক্রি করি। সকাল বেলা বাড়ি থেকে বের হয়ে বিকেল পর্যন্ত হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে শাক সংগ্রহ করি তারপর সেইগুলো নিয়ে এসে বিকেলে বিক্রি করি। এই শাক বিক্রির টাকায় সংসার চালাই, এক সময় কিছুই ছিলো না। বর্তমানে শাক বিক্রির টাকা জমিয়ে কিনেছি সারে ৩ বিঘা জমি। ছেলেকে কিনে দিয়েছি অটো, মেয়ে টার বিয়েও দিয়েছি।এই ঢেঁকি শাক বিক্রি করে অনেক কিছু করেছি।