দ্যা মেইল বিডি / খবর সবসময়

; ;

দ্যা মেইল বিডি ডট কম

তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধিত অনলাইন পত্রিকা, নিবন্ধন নং- ১১

মনিরুজ্জামান খান,গাইবান্ধা:

গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় বিরাট রাজার এলাকায় ঢিবিতে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন কাজ পরিচালনা করছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। এ এলাকায় প্রথমবারের খননের মাঝামাঝি সময়ে বেরিয়ে এসেছে বেশকিছু অবকাঠামো ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। যেগুলো প্রাচীন ও মধ্যযুগের হতে পারে বলে ধারণা করছে খনন কাজে নিয়োজিত রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলের প্রত্নতাত্ত্বিক দল।

বিরাট রাজার ঢিবিটির আকার ৫০ মিটার, প্রস্থ ৩৫ মিটার এবং উচ্চতা চার মিটার। এছাড়াও আশপাশে আরও চারটি ঢিবি রয়েছে।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক এবং খননকারী দলের প্রধান ড. নাহিদ সুলতানা এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, খননে ধারণার চেয়ে বড় আকারের অবকাঠামো পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত এখানে পোড়ামাটির ভগ্নাংশ, পোড়ামাটির ফলক, অলংকৃত ইট (ধর্মীয় উপাসনালয়ের সাজসজ্জায় ব্যবহৃত), ভিত্তিপ্রস্তর পিলার পাওয়া গেছে, যা প্রাচীনত্বের সাক্ষ্য বহন করে। তবে নিদর্শনগুলো ঠিক কোন সময়ের এবং কারা এখানে বাস করতেন বা কাদের রাজ্য ছিল বড় আকারে খনন কাজ সম্পন্ন না হলে তা সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয়।

নাহিদ সুলতানা আরও বলেন, প্রত্নত্ত্বস্থলটি ইতোমধ্যে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে বড় পরিসরে খনন কাজ করে জায়গাটিকে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হবে এবং সেইসঙ্গে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরে দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

জনশ্রুতি আছে, এখানে প্রাচীন একটি দুর্গ নগরী ছিল। এর নিরাপত্তার জন্য ছিল সু-উচ্চ প্রাচীর এবং প্রাচীরের বাইরে প্রশস্ত ও সুগভীর পরিখা। তবে খননকারী দল এখন পর্যন্ত প্রাচীন দুর্গ নগরীর কোনো চিহ্ন খুঁজে পায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, মূল অবকাঠামোর সঙ্গে আরও দুই-তিনটি মন্দিরের সংযোগ সড়ক ছিল, যা ধ্বংসপ্রাপ্ত।

খাঁজা এম এ কাইয়ুম নামে স্থানীয়ে এক গবেষক দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে বিরাট রাজার ঢিবি নিয়ে গবেষণা করেছেন। তার নোটবুকের তথ্যানুসারে, বিরাট রাজা পুরো ভারতবর্ষে ‘মৎস্যরাজ’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এ অঞ্চলে মাছ চাষের জন্য তিনি ৯৯৯টি পুকুর খনন করেন।

রাখাল রাজ বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯২৫-২৬ সালে একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, ১৯০৫ সালের দিকেও এ স্থানটি জঙ্গলে ঘেরা ছিল। কয়েক বছর আগে সাঁওতালরা জায়গাটি পরিষ্কার করে ঘরবাড়ি তৈরি করেন।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, ২০২৩ সালে বিরাট রাজার ঢিবি খনন কাজ শুরু হয়। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বয়ে গঠিত একটি খনন দল এ কাজ করছেন। খনন দলের আট সদস্য হলেন ড. নাহিদ সুলতানা, ড. আহমেদ আবদুল্লাহ, রাজিয়া সুলতানা, হাবিবুর রহমান, এস এম হাসানাত বিন ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, তারিকুল ইসলাম ও উম্মে সালমা ইসা। এছাড়া ২০ জন অভিজ্ঞ শ্রমিক খনন কজে নিয়োজিত আছেন।

Share.
Leave A Reply

মোঃ আব্দুল আওাল হিমেল
প্রকাশক ও সম্পাদক 
দ্যা মেইল বিডি ডট কম
মোবাইল: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
ইমেইল: themailbdnews@gmail.com
ঠিকানা: ১০২/ক, রোড নং-০৪, পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটি, শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭

নিউজরুম: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
জরুরী প্রয়োজন অথবা টেকনিক্যাল সমস্যা: +৮৮০ ১৮৩৩-৩৭৫১৩৩

© 2024 Themailbd.com. Designed and developed by Saizul Amin.
Exit mobile version