স্বীকৃতি বিশ্বাস, যশোর:
যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের সাথে সারাদেশের ন্যায় যশোরওজাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট -এর ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।দিবসটি উপলক্ষে আজ সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারী)দুপুর সাড়ে ১২টায় যশোর জেলা কার্যালয় থেকে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট যশোর জেলা কমিটির উদ্যোগেশহরে লাল পতাকা মিছিল ও প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করে।
জেলা সভাপতি আশুতোষ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক কামরুল হক লিকু, প্রচার সম্পাদক কাসরুজ্জামান রাজেস ও দপ্তর সম্পাদক এড. আহাদ আলী লস্কর প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিশ্ববাজার প্রভাব বলয় পুণর্বণ্টন নিয়ে সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বযুদ্ধ তথা আন্তঃসাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্থল সংযোগ সেতু মালাক্কা প্রণালী সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশের ভূ-রাজনীতি ও রণনীতিগত গুরুত্বের প্রেক্ষিতে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের নেতৃত্বে পাশ্চাত্য, প্রতিপক্ষ সাম্রাজ্যবাদী চীন-রাশিয়া উভয়পক্ষ স্বীয় রণনীতিতে বাংলাদেশকে যুক্ত করতে তীব্র প্রতিযোগিতা-প্রতিন্দ্বিতা করছে। তারই প্রতিফলন ঘটছে সাম্রাজ্যবাদের দালাল দল গুলোর মধ্যে।
সাম্রাজ্যবাদের দালাল স্বৈরাচারি শেখ হাসিনা সরকার সাম্রাজ্যবাদী চীন-রাশিয়ার পদলেহন করে ক্ষমতা অব্যাহত রাখতে সভা-সমাবেশে বাধানিষেধ, সকল বিরোধী মত দমন-পীড়নসহ রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও দলীয় সন্ত্রাস সর্বাত্মক করে ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদসহ পাশ্চাত্য শক্তিরও নানা তৎপরতা লক্ষণীয়। আজ দেশে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। কল কারখানায় শ্রমিক ছাঁটাই হচ্ছে। কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণের নামে সাম্রাজ্যবাদী পুঁজি বিনিয়োগ ও অবাধ লুটপাটের ক্ষেত্র সৃষ্টির অপতৎপরতা চলছে। এ সব তৎপরতা সাম্রাজ্যবাদীরা ‘এসডিজি’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যকে সামনে রেখে অগ্রসর করছে।
সাম্রাজ্যবাদীদের অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে বিশ্বজনগণের কাঁধে বিশ্বযুদ্ধ চাপিয়ে বাজার ও প্রভাব বলয় পুনর্বণ্টনের প্রস্তুতি অগ্রসর করছে। ইতিমধ্যে ইউক্রেনযুদ্ধ ও মধ্যপ্রাচ্যে প্যালেস্টাইনে ইসরায়েলের আগ্রাসন ও সে প্রেক্ষিতে আঞ্চলিকযুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার অবস্থা সামনে আসছে। এমতাবস্থায় জাতীয় ক্ষেত্রে শ্রমিক-কৃষক-মেহনতি মানুষকের নিয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
সাম্রাজ্যবাদী পুঁজি এবং দালালপুঁজির শোষণ উচ্ছেদ করে সাম্রাজ্যবাদ, সামন্তবাদ, আমলা, দালালপুঁজি বিরোধী জাতীয় গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় শ্রমিক-কৃষক-জনগণের সমস্যা-সংকট নিয়ে সকল সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ লাগাতার আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তুলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, সরকার ও সংবিধান প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অগ্রসর হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।একই সাথে নেতৃবৃন্দ সংখ্যালঘু হরিজন সম্প্রদায়ের বিশেষ সুবিধায় প্রাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। অবিলম্বে বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপন করার দাবি জানান।