ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, ‘ইবি শাখা’ কর্তৃক ২দিন ব্যাপী লেখা প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।ভাষার মাস উপলক্ষে রবিবার (৪ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবন সংলগ্ন আমতলায় এ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালাম।
উদ্ধোদনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন, ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সংগঠনটির উপদেষ্টা শরিফুল ইসলাম জুয়েল এবং কমিউনিকেশন এণ্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের প্রভাষক তন্ময় সাহা জয় ও বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এস এ এইচ ওয়ালিউল্লাহসহ লেখক ফোরামের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ ।
উক্ত অনুষ্ঠানে সংগঠনটির তরুণ লেখকদের বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত প্রায় শতাধিক লেখা প্রদর্শন করে। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সমস্যা ও প্রত্যাশা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের ও প্রশাসনের নিকট পৌঁছে দিতে ‘মনের জানালা’, উন্মুক্ত কুইজ প্রতিযোগিতা, সংগঠনটির দ্বিমাসিক প্রকাশনা ডাকঘরের জন্য উন্মুক্ত লেখা আহ্বান সহ নানা বুদ্ধিবৃত্তিক ও সৃষ্টিশীল কর্মসূচির আয়োজন করেছে সংগঠনটি।
এছাড়াও সংগঠনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলাকে বিভিন্ন ধরণের কারুকার্যের মাধ্যমে সাজিয়ে তুলেছেন। সংগঠনটির এই লেখা প্রদর্শনীকে কেন্দ্র করে বটতলায় উৎসবমুখর পরিবেশে বিরাজ করছে। স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছে।
লেখা প্রদর্শনী সম্পর্কে সংগঠনটির সভাপতি আবু তালহা আকাশ বলেন ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথম বারের মতো লেখা প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। আমরা সবসময় বুদ্ধি ভিত্তিক চর্চার মাধ্যমে সুন্দর সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করি। শিক্ষার্থীদের বুদ্ধি ভিত্তিক চর্চার সুযোগ ও জাতি কে বই মুখি করার জন্য চেষ্টা করে আসছি। আমরা আশা করছি এই ধরণের আয়োজনের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশের তরুণ সমাজ বুদ্ধি ভিত্তিক চর্চায় আগ্রহী হয়ে উঠবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা লেখালেখি ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও সেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২১ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পরপর ৪র্থবারের ‘বর্ষসেরা’ শাখা নির্বাচিত হয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।