চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থানাধীন নতুন ব্রিজ এলাকায় ভূয়া ছাত্রলীগ নেতা আজমিরের বেপরোয়া কিশোর গ্যাং বাহিনী দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এমনটাই অভিযোগ এলাকাবাসীর।বাকলিয়া শহীদ এন এম এম জে কলেজের কথিত ছাত্রলীগ নেতা আজমীরের নামে অত্র এলাকাবাসীর শত শত অভিযোগ।
দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে কথিত ছাত্রলীগ নেতা আজমীর শাহ,তার রয়েছে একাধিক কিশোর গ্যাং সদস্য এমনটাই বলছেন এলাকায় বসবাসরত স্থানীয় জনসাধারন,শুধু এখানেই শেষ নয়, আজমিরের বেশ কিছু কিশোর গ্যাং গ্রুপ, ছাড়াও প্রতিনিয়ত চাঁদাবাজির হাট খুলে বসে আছেন নতুন ব্রিজ মোডে, কেউই মুখ খুললেই তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তার লালিত পালিত কিশোর গ্যাং সদস্যরা।পরিবহন শ্রমিকদের জিম্মি করে নতুন ব্রিজ হকার দোকান থেকে ছাত্রলীগ নেতা পরিচয়ে চাঁদা আদায় সহ এমন কোন অপরাধ নেই যা বাকলিয়া থানাধীন নতুন ব্রিজ এলাকায় সংঘটিত করেনি আজমির বাহিনী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজমীর শাহ ২ বছর আগে পটিয়া গ্রামে বাড়ির নজরুলের মেয়ে নুর জাহান সাদিয়ার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।বর্তমানে তাদের ১ বছরের একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে,যার নাম আদিল।আজমীর হোসেনে গ্রামের বাড়ী রাউজান বলে জানা যায়।তার অস্থায়ী ঠিকানা বাকলিয়া ষ্টেডিয়াম মাঠের সামনে মনজু কলোনীতে বউ বাচ্চা নিয়ে শুশুর বাড়িতে থাকেন।এদিকে বাকলিয়া শহীদ এন এম এম জে ডিগ্রি কলেজ কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, আজমীর শাহ বর্তমানে ওই কলেজে অধ্যয়নরত কোনো শিক্ষার্থী নয়।
বাকলিয়া শহীদ এন এম এম জে কলেজ শাখা ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্ররা জানান,আজমীর শাহ আমাদের কলেজের ছাত্র নয় এবং এক সন্তানের জনক এমন একজনকে এই কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক বলা হয়।যা অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয়।কথিত ছাত্রলীগ নেতা আজমিরের রয়েছে বহিরাগত সন্ত্রাসী ও তাদের দিয়ে বেপরায়া ভাবে এই কলেজ দখল করে বসে আছেন তিনি।তার নেতৃত্বে ছাত্রলীগের অন্য অংশটি কলেজে আসতে পারেনা্।একপর্যায়ে ছাত্রলীগের অন্য অংশটি কলেজে প্রবেশ করতে চাইলে আজমির নেতৃত্বে বহিরাগত সন্ত্রাসী ,হাসান রানা,রুবেল সহ এরা সবাই কিরিচ, রামদা, হকিস্টিক ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মারধর করে তাদের ভয়ে অনেকে কলেজে আসেনা।এই গ্যাং বাহিনীর বিরুন্ধে রয়েছে চাঁদাবাজিসহ সংখ্যালঘু অপরাধে মামলা।‘আহ্বায়ক পরিচয়ে আজমীর হোসেনের চাঁদাবাজী চলছে তো চলছে ।
আরো জানা যায়, আজমীর শাহ নিজেকে শিক্ষামন্ত্রী নওফেল গ্রুপের অনুসারী পরিচয় দিয়ে মন্ত্রীর সাথে তুলনা ছবি প্রদর্শন করে বেড়ায়।কতিত এই ভূয়া ছাত্রলীগ নেতা নিজেকে শহীদ জে এম এম এন কলেজের আহ্বায়ক দাবী করলে সেটা চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের নজরে আসে গত ০৫/১০/২০২১ ইংরেজীতে।এতে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ দ্রুত নিজস্ব প্যাডে লিখিত দেন ০৬/১০/২০২১ ইং শহীদ এন এম এম জে কলেজে তাদের কোন কমিটি নেই। যদি কোন ব্যাক্তি অত্র কলেজে ছাত্রলীগ আহ্বায়ক দাবী করে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন।
চট্টগ্রাম অটো টেম্পু শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক-জানে আলম সাংবাদিকদের বলেন,ভূয়া ছাত্রলীগ আজমীর তার কিশোর গ্যাং বাহীনি সদস্যদের দিয়ে প্রতিনিয়ত মারধর করেন আমাদের টেম্পু চালক শ্রমিকদের।চট্টগ্রাম শাহ আমানত সেতু থেকে নিউ মার্কেট পযন্ত একটা ট্রেম্পু লাইন থেকে চাঁদা দাবী করে।এই চাঁদা নেওয়াকে কেন্দ্র করে বহুবার আমাদের সাথে সংঘর্ষ বাধে।সংঘর্ষে আজমীর হোসেন এর হাতে দেশীয় দারালো ছুড়ি হাতে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভূয়া ছাত্রলীগ আজমীরের বিরুন্ধে বাকলিয়া থানায় একটা মামলা দায়ের করি আমি।মামলা করার পর আরো বেপোরোয়া হয়ে উঠে তার কিশোর গ্যাং বাহীনি।নানানভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে ট্রেম্পু লাইন বন্ধ করে দিবে বলে আজমির।
টেম্পু চালক শ্রমিকরা জানান কথিত এই ভুয়া ছাত্রলীগ নেতার অব্যাহত হুমকি ধমকীর কারনে বর্তমানে চরম নিরপত্তহীনতায় ভুগছেন।তারা চাঁদার টাকার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।তাদের হুমকির কারনে অনেক টেম্পু শ্রমিক গাড়ী চালাতে অপরাগতা প্রকাশ করছেন।এইসব অছাত্র বিবাহিত চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের কারনে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও দেশের ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে।এই বিষয়ে স্থানীয় কর্ণফুলী সেতু এলাকার দায়িত্বে থাকা পুলিশ বক্সে দায়িত্বেরত প্রশাসনের কর্মকর্তারা অনেক সময় এই সব বিষয়ে জেনে ও ব্যবস্থা নেয়না বলে জানান স্থানীয় ভুক্তভোগীরা।
এবিষয়ে আজমীর শাহ বলেন,আমি চট্টগ্রাম মহানগরে অবস্থিত নতুন ব্রীজ বাকলিয়া থানাধীন,বাকলিয়া শহীদ নুর হোসেন ডাঃ মিলন মোজাম্মেল জেহাদ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের প্রতিনিধি এরং সাবেক আহবায়ক আমি বর্তমানে কলেজের ছাত্র।আমি বর্তমানে অবিবাহিত, যেই মেয়ের সম্পর্কে আমার নিকট হতে জেনেছেন তিনি আমার ভাইয়ের স্ত্রী এবং আদিল ও আমার ভাইয়ের সন্তান।আমি কোনোরূপ চাঁদাবাজি নামক ভয়ানক অপরাধ থেকে আমি বিরত থাকি।অত্র নতুন ব্রীজের কোনোরূপ চাঁদাবাজি বা অন্যান্য কোনোধরনের অপরাধের সহিত জড়িত নহে।