ডা.এম.এ.মান্নান
নাগরপুর(টাঙ্গাইল)সংবাদদাতা:
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ৪ টি ইউনিয়নের সংযোগ সড়কে খালের উপর ঝুকিপূর্ণ বাঁশের পুল ব্যবহার করে যাতায়াত করছে এলাকাবাসী। এতে স্কুল-মাদ্রাসা ও হাট-বাজারে যেতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে জনসাধারণের। প্রায় ২ বছর আগে স্থানীয় তরুণদের উদ্যোগে শেওরাইল-কাশিনারা সীমানায় বাঁশের পুল নির্মিত হলেও এখন সেটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। আগে মোটরসাইকেল চলাচল করা গেলেও এখন পায়ে হেটে চলাচল অনেক ঝুঁকিপূর্ণ এবং পানি না থাকায় খালের মধ্যে বিকল্প সড়ক বানিয়ে যাতায়াত সাধিত হচ্ছে।
বাঁশের পুলটি ভাদ্রা ইউনিয়নের কাশিনারা এলাকায় খালের উপর নির্মিত। গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ সড়কের এই বাঁশের পুল দিয়ে ধুবড়িয়া ইউনিয়নের পূর্বপাড়া, ভাদ্রা ইউনিয়নের লক্ষীদিয়া,কাশিনারা ও শেওরাইল, নাগরপুর সদর ইউনিয়নের পাইশানা ও মামুদনগর ইউনিয়নের কোদালিয়া বনগ্রাম এলাকা সহ আশেপাশের ৫ টি গ্রামের প্রায় ২ হাজার জনসাধারণের প্রতিদিনের যাতায়াত সম্পূর্ণ হয়। এখনো সেতু নির্মাণ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয় বাসিন্দা মো. মনতাজ মিয়া বলেন, প্রতিদিন এই সড়কে হাজারো মানুষ যাতায়াত করে। চেয়ারম্যান আমাদের সেতু নির্মাণ সম্পর্কে কিছুই বলে নাই। এখনো কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয় নাই। দ্রুত এখানে সেতু নির্মাণের দাবী জানাচ্ছি। আরেক বাসিন্দা মো. শরিফ মিয়া জানায়, এই যে বস্তা মাথায় করে ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের পুল পারাপার হচ্ছি। হাটে যাওয়া খুব কষ্ট, সেতু না থাকায় গাড়ি চলে না সড়কে।
মোটরসাইকেল নিয়ে চলাচলকারী জাকির হোসেন চঞ্চল বলেন, আমি প্রায়শই এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করি। এখানে বাঁশের পুল বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে গেছে বিধায় পুল দিয়ে আসা যায় না, নিচে খাল দিয়ে আসতে হয়েছে। বর্ষাকালে অনেক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটে এখানে।এ বিষয়ে ভাদ্রা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত আলী, বলেন, শেওরাইল-কাশিনারা সীমানায় বাঁশের পুলের পরিবর্তে সেতু নির্মাণের আবেদন করা হয়েছে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। এলজিইডি আমাদের আশ্বাস দিয়েছে সড়ক হওয়ার সাথে সাথে সেতু নির্মাণ হয়ে যাবে।নাগরপুর উপজেলা প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, আমি ইতিমধ্যেই উল্লেখিত এলাকাটি পরিদর্শন করেছি। সেখানে একটি সেতু প্রয়োজন। প্রকল্পটি প্রস্তাবনায় আছে। সড়ক হয়ে গেলে দ্রুত সেখানে সেতু নির্মাণ হবে।