রবিবার, জুন ২৩, ২০২৪

আনোয়ারায় ভূমি অফিস গুলোতে ঘুষ বাণিজ্য বন্ধ হচ্ছে না

যা যা মিস করেছেন

নিজস্ব সংবাদদাতা আনোয়ারা::

সংবাদ প্রকাশের পরও চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ভূমি অফিসে গুলোতে ঘুষ বাণিজ্য বন্ধ হচ্ছে না৷ আনোয়ারা উপজেলা ভূমি অফিসে সরকারি নির্ধারিত ১১০০ টাকার ডিসিআর কাটতে অফিস সহকারী নাজির মোজাম্মেল হককে ঘুষ দিতে হয় ৩ হাজার ১০০ টাকা শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ প্রকাশিত হলেও বন্ধ হচ্ছে না অতিরিক্ত ঘুষের টাকা নেওয়া। নামজারির ডিসিআর কাটতে ৩ হাজার ১০০ টাকা নির্ধারণ করে দিলেন অফিস সহকারী নাজির মোজাম্মেল হক। জমির মালিকানা পরিবর্তনের পর নতুন মালিকের নামে নামজারি করে রেকর্ড করতে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে আবেদন করতে হয়। এ জন্য সরকার নির্ধারিত খরচ ১ হাজার ১০০ টাকা। কিন্তু আনোয়ারা উপজেলা ভূমি অফিসে সরকারি খরচের বাইরে নামধারী ক্যাজুয়েলদের হাতে বা অফিস সহকারী নাজিরের কাছে দিতে হচ্ছে হাজার হাজার টাকা। ভূমির মালিকানা নিয়ে যত বেশি জটিলতা ঘুষের টাকার হারও তত বেশি এ অফিসে। কখনো কখনো ২৫-৫০ হাজার টাকাও ছাড়ায় ঘুষের রেট। একাধিক সেবাপ্রার্থীরা জানান, মিচ মামলায় মাসের পর মাস ঘুরতে হচ্ছে। প্রতিদিন এসিল্যান্ড অফিসের সামনে গিজগিজ করছেন সেবাপ্রার্থীরা। নামজারি, ডিসিআর ও মিচ মামলার নামে এখানে অবাধে চলে ঘুষ বাণিজ্যের রমরমা ব্যবসা। অফিসের পিয়ন, ক্যাজুয়েল, কর্মকর্তা কর্মচারীদের ঘুষ দুর্নীতির অনিয়মকে রুপ দিয়েছেন নিয়মে। আর এতে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী লোকজন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করলেও কোন ফল পায় নি। এমন তথ্য এসেছে প্রতিবেদকের হাতে। সাবেক ভূমি মন্ত্রীর নিজ এলাকায় ভূমি ব্যবস্থাপনায় এমন অরাজকতা নিয়ে প্রশ্ন এখন আনোয়ারাবাসীর। প্রশ্ন হলো ভূমি অফিসের এই অরাজকতার পরিস্থিতির কথা কি সংসদ সদস্য বা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছিলেন? জানালে তাঁরা কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? এই প্রশ্ন এখন আনোয়ারাবাসীর। ভুক্তভোগীরা জানান, দুর্নীতি দমন কমিশন কী করে, তারা কী ভূমি অফিসের এই দুর্নীতি নিয়ে কোন অভিযান চালাতে পারে না। জনগণ আগে শুনতো দুদকের জালে রুই কাতলা ধরা পড়ে না এমন অভিযোগ আছে। কিন্তু এখন তো দেখা যাচ্ছে মোজাম্মেল হকের মতো অথবা ক্যাজুয়েল দুর্নীতিবাজ চুনোপুঁটিও তাদের জাল ছিঁড়ে বেরিয়ে বেপরোয়া হয়ে সাবেক ভূমি মন্ত্রীর নিজ এলাকায় ঘুষের বাজার বসিয়ে বটবৃক্ষ হয়ে গেছে। এলাকাবাসীর দাবী সংসদ সদস্য ভূমি অফিসের লোকজনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত করার নির্দেশ দিয়ে গণশুনানি করে যাচাই করে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুক। অভিযুক্ত অফিস সহকারি নাজির মোজাম্মেল হক জানান, আমি যে অতিরিক্ত টাকা নিই সেগুলো আমার না। এগুলো স্যারের সাথে আলাপ করেন। অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন তিনি। এ ব্যাপারে আনোয়ারা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আব্দুল নূর চৌধুরী জানান, অবিলম্বে ভূমি হয়রানি বন্ধ করার জন্য সহকারী কমিশনার ভূমি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। না হয় জেলা প্রশাসক ও এলাকার সংসদ সদস্য সাথে বসে এই বিষয়টি উথাপন করবেন বলে জানান।

এবিষয়ে সিনিয়র সহকারী কমিশনার রাজস্ব শাখা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরীকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেনি। এব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো: আবদুল মালেক বলেন, অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কিছু প্রমাণ দেন আমি সাথে সাথে আইনগত ব্যবস্থা নেব। এক্ষেত্রে আনোয়ারা ভূমি অফিস নিয়ে সিরিজ নিউজে আগামীতে থাকছে, তিন বছরের উর্ধ্বে একই চেয়ারে বসে ঘাঁটি গেড়ে দুর্নীতি, নাজিরের রুমে সিসি ক্যামরা স্থাপনের দাবী ভুক্তভোগীদের, ক্যাজুয়েল হাতে জিম্মি ভূমি অফিস, ভূমি অফিসে প্রতি ঘাটে ঘাটে ঘুষ দিতে হয় সেবা প্রার্থীদের, আনোয়ারায় জমির খাজনা দিতে বাজনা বাজে, সাবেক ভূমি মন্ত্রীর এলাকায় ভূমি হয়রানি, দালাল বেষ্টিত ভূমি অফিস, আনোয়ারায় নামজারিতে তদবির করে কথিত কয়েকজন সাংবাদিক, রাজনীতিবীদ, জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন তদবিরবাজরা, সিরিজ নিউজ পড়তে চোঁখ রাখুন পত্রিকার পাতায়।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security