ইবি প্রতিনিধিঃ
সম্প্রতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) এক শিক্ষার্থী ভাইভা পরীক্ষায় নেকাব না খোলায় পরিক্ষায় অংশগ্রহণ পারেনি ।এই ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার (২১জানুয়ারি) বেলা ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ইবি শাখা।

এসময় সংগঠনটির সভাপতি মুহাম্মাদ আল আমিনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সদ্য সাবেক কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য মু.নাঈম উদ্দিন। এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক আল-ইমরান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক  মু. সাজ্জাদ সাব্বির, দাওয়াহ সম্পাদক মো: আনওয়ার ইসলাম, তথ্য-গবেষণা ও প্রচার সম্পাদক আবু সাঈদ, প্রকাশনা দফতর সম্পাদক নেয়ামাতুল্লাহ আল ফারিস, অর্থ ও কল্যাণ সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাত, পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক আবু হুরায়রা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন তাকবির ও কার্যনির্বাহী সদস্য মো. আমানুল্লাহ সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন রাহাত।

সংগঠনটির সভাপতি মুহাম্মাদ আল আমিন বলেন, সম্প্রতি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থীকে নিকাব না খোলায় বিভাগীয় সেমিস্টার ফাইনালের ভাইভা  থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান ও নাগরিক অধিকার হরণ করার নামান্তর। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখবেন বলে আশাকরি।

তিনি আরও বলেন, পর্দা মুসলিম নারীর রক্ষাকবচ ও আত্মপরিচয়ের হাতিয়ার। কিন্তু স্বাধীন দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ এবং একটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীর অধিকারের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের এমন নগ্ন হস্তক্ষেপ ও কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদেরকে চরমভাবে আঘাত করেছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মু.নাঈম উদ্দিন বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মত প্রতিষ্ঠানে এধরনের ইস্যু নিয়ে মানববন্ধন করতে হচ্ছে বিষয়টি লজ্জাজনক। নিকাব না খোলায় ভাইভা থেকে বের করে দেওয়ায় সংবিধানের ধর্মীয় স্বাধীনতার বিধানকে লঙ্ঘন করা হয়েছে। এধরণের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট আবেদন জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য, গত ১৩ ডিসেম্বর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ১ম বর্ষের এক শিক্ষার্থী নেকাব পরে ভাইভা পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এসময় ভাইভা বোর্ডের শিক্ষকরা তার পরিচয় নিশ্চিতের জন্য নেকাব খুলতে বলেন, পরে তিনি নেকাব খুলতে অস্বীকৃতি জানায় এবং ওই ছাত্রী শিক্ষককে অনুরোধ করেন যাতে নারী শিক্ষক দ্বারা পরিচয় নিশ্চিতের জন্য। কিন্তু ভাইভা বোর্ডের শিক্ষকরা তাকে তৎক্ষনাৎ নেকাব খুলতে বলেন, পরে নেকাব নাহ খোলায় তার ভাইভা পরিক্ষা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান দায়িত্বরত শিক্ষকরা।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version