...
সোমবার, জুন ১৭, ২০২৪

আধুনিকতার ছোয়া পাবে জবির ডে-কেয়ার সেন্টার

যা যা মিস করেছেন

জবি প্রতিনিধি:

২০১৮ সালের ৩ মার্চ শিক্ষক ডরমেটরি ভবনের তৃতীয় তলায় অপরিকল্পিতভাবে যাত্রা শুরু করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একমাত্র ডে-কেয়ার সেন্টার। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শিশুদের অফিস সময়ে দেখাশোনা করার জন্য সেন্টারটির যাত্রা শুরু হলেও নানামুখী সংকটের কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। এবার সেই সংকট কাটিয়ে শিশুদের জন্য স্বাভাবিক মানসিক বিকাশ নিশ্চিত করতে তা স্থানান্তর করে আধুনিক ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।

নিজস্ব অবকাঠামো না থাকা, অপ্রতুল কর্মচারী, শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় খেলনা ও আসবাবপত্রের অভাব, শিশুদের জন্য আধুনিক কোনো ব্যবস্থাপনা না থাকাসহ নানামুখী সংকটে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ডে-কেয়ার সেন্টারটি। উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের হাত ধরে এবার সেই সংকট কাটানোর পথে হাঁটছে ডে-কেয়ার সেন্টারটি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ডে কেয়ার সেন্টারটি গত সোমবার (১৫ জানুয়ারি) পরিদর্শন করেন উপাচার্য অধ্যাপক সাদেকা হালিম। পরিদর্শন শেষে ডে-কেয়ার সেন্টারটি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। শিশুদের মানসিক বিকাশের জন্য স্বাভাবিক পরিবেশ নেই বলেও জানান তিনি। পরে তা স্থানান্তর করে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন ডে কেয়ার সেন্টার স্থাপনের ঘোষণা দেন।

এতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। উপাচার্যের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন তারা। এতে শিশু সন্তানদের ডে-কেয়ার সেন্টারে নিরাপদে রেখে নিশ্চিন্তে কাজ করতে পারবেন বলেও জানিয়েছেন তারা। শিক্ষার্থীরাও শিশুসন্তানদের ডে কেয়ার সেন্টারে রেখে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে পারবেন বলেও স্বস্তি প্রকাশ করছেন তারা।

অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মাকসুদা আক্তার বলেন, ডে-কেয়ারে শিশুদের দেখাশোনা করার লোক একেবারেই কম ছিল। বাচ্চাদের জন্য আধুনিক ব্যবস্থাপনা ও তাদের সুস্থ ও সঠিক বিকাশ ঘটনোর জন্য ডে কেয়ার সেন্টারটির আধুনিকায়ন হলে আমাদের মত শিক্ষার্থীদের অনেক সুবিধা হবে।

সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী হিরা সুলতানা বলেন, ডে-কেয়ার সেন্টারে যেসব খেলনা ও আসবাবপত্র রয়েছে তা শিশুদের প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল। রুমের ভেতরে কেমিকালের গন্ধ আসতো৷ ডে কেয়ার সেন্টারটির স্থানান্তর ও আধুনিকায়ন করার সিদ্ধান্ত নেয়ায় প্রশাসনকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, আমাদের ডে কেয়ার সেন্টারটি শিশুদের থাকার মতো নয়। আমি পরিদর্শন করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি ভালো একটি জায়গায় স্থানান্তরের জন্য। যাতে একটি ভালো পরিবেশে শিশুরা থাকতে পারে। তাদের মানসিক বিকাশ ঘটে। তাহলে শিক্ষক, স্টাফরা, শিক্ষার্থীরা তাদের শিশু সন্তানদের ডে কেয়ার সেন্টারে নিশ্চিন্তে রাখতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য মনোযোগ দিয়ে কাজও করতে পারবেন।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security
Seraphinite AcceleratorOptimized by Seraphinite Accelerator
Turns on site high speed to be attractive for people and search engines.