স্টাফ রিপোর্টার:
শুরু হয়েছে বোরো ধানের চারা রোপন। তীব্র শীত উপেক্ষা করে জমি চাষাবাদ করছেন কৃষকরা। জোয়াল ভাঙ্গা হাওরের কৃষকরা চাষাবাদ থেকে শুরু করে জমিতে ধানের চারা রোপনের কাজ করছেন প্রতিনিয়ত । সুরমা নদীর তীর ঘেষে অবস্থিত জোয়াল ভাঙ্গা হাওর। এই হাওরে সদর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের অনেকটি গ্রামের জমি রয়েছে। এখানে রয়েছে বাণীপুর, রামনগর, রাসনগর, নৌকাখালী, মুড়ারবন্দসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। কৃষি কাজের উপর নির্ভর এই হাওর পাড়ের মানুষ। বোরো ও আমন ধানের চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করেন তারা। ফসল ভালো হলে তারা সাচন্দ্যে দিনাতিপাত করতে পারেন। তবে এখানের মুড়ারবন্দ থেকে বাণীপুর যে বাধ রয়েছে এটি নিয়ে কৃষকরা শঙ্কিত। মোহনপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার বাচ্চু মিয়া বলেন আমাদের এই জোয়াল ভাঙ্গা হাওরের কৃষকরা ঝুকির মধ্যে রয়েছেন। সুরমা নদীর পাড়ের মুড়ারবন্দ থেকে বাণীপুর পর্যন্ত রাস্তাটি ঝুকিপূর্ন। কাচা ও ভাঙ্গা রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে গিয়ে দুর্ঘটনার হয় প্রায়ই। এই রাস্তা দিয়ে ৫টি গ্রামের মানুষ চলাচল করেন। এই রাস্তা দিয়ে স্কুল. মাদ্রাসা, কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরাও যাতায়াত করেন। এছাড়াও সাধারণ মানুষ জয়নগরবাজার, রামনগর বাজার, টুকেরবাজার এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন। সদর উপজেলার জোয়াল ভাঙ্গা হাওরপাড়ের মুড়ারবন্দ গ্রামের কৃষক এখলাছ মিয়া বলেন ‘শীতের দিন খুবই ঠা-া লাগে, কিতা খরমু ঠা-া না মান্নিয়াই ক্ষেত করতাছি’। বাকিটা আল্লায় জানইন। তবে আক্ষেপের সুরে তিনি বলেলন আমাদের মুড়ারবন্দ থেকে বাণীপুর যে রাস্তা এটি ভাঙ্গাচুড়া। বর্ষা আসার সাথে সাথেই ডুবে যায়। তাই আমরাও অসহায় হয়ে পড়ি এই রাস্তা নিয়ে। রাস্তাটি মেরামত হলে মানুষ চলাচল থেকে শুরু করে বোরো ও আমন ফল দুটিই রক্ষা পবে। মুড়ারবন্দেও সাবেক মেম্বার আব্দুস ছুবহান বলেন জোয়াল ভাঙ্গার মুড়ারবন্দ বাণীপুরের যে রাস্তাটি এটি সংষ্কার না হলে মানুষের চলাচলও বন্ধ হবে। পাশাপাশি বোরো ও আমন দুই ফসলই পানিতে তলিয়ে যাবে। কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন বিএডিসি সেচ প্রকল্পের ম্যানেজার সুহেল মিয়া বলেন- বোরো জমি কর্তনের সাথে সাথে সেচ প্রকল্পের স্কীম শুরু হয়। এই বাধের কারণে হাজার হাজার একর জমি বোরো- আমন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এলাকাবাসীর দাবী রাস্তা ও ফসল রক্ষা বাধের জন্য মাটি ভরাট খুবই জরুরী। ৩নং ব্লকের মহিলা মেম্বার জানান, জোয়াল ভাঙ্গার এই বাধ দেওয়া হলে ফসল রক্ষার সাথে সাথে মানুষও চলাচল করতে পারবে সুবিধামতো। ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার গোলাম জিলানী বলেন এই বাধ এই পাঁটি গ্রামের মানুষের জন্য খুবই জরুরী। না হলে মানুষ ফসল হারা হবে। বাণীপুরের নুরুল আমিন ও সাই্ফুল্লা বলেন মুড়ারবন্দ ও বাণীপুরের এই বাধটি না হলে এলাকার মানুষ খেলাধুলার জন্য নদীর পাড়ে একটি মাঠ রয়েছে তাও হারাবে। ফসল রক্ষার জন্য এই বাঁধ পুণঃবার দেওয়া অতীব জরুরী।