জেলা প্রতিনিধি,নড়াইল:
নড়াইলে বিপুল পরিমাণ মোবাইল সিম, ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্র্যানার, বায়োমেট্রিক যন্ত্র সহ দুই প্রতারক কে গ্রেফতার করেছে জেলা পুলিশ।
বৃহম্পতিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে নড়াইল পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং এ এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহা.মেহেদী হাসান।
পুলিশ সুপার মোহা.মেহেদী হাসান বলেন, নড়াইল সদরের ভওয়াখালী গ্রামের তৈয়ব আলী নামের একজন অনলাইনে একটি ক্যামেরা কিনতে ‘DSLR Camera Bazar Store’কে ৫ হাজার টাকা এবং পরবর্তীতে আরো ২০ হাজার টাকা প্রদান করে প্রতারিত হন। এ ঘটনায় মামলা হলে বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাতে জেলা সাইবার ক্রাইম ইনভেসন্টিকেশন সেলের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলি হোসেন ও ফিরোজ আহম্মেদ এবং জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো.মাহাফুজুর রহমান ও আনিসুজ্জামান সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে কালিয়া উপজেলার যাদবপুর গ্রাম থেকে অবৈধ সিম বিক্রি অবস্থায় সবুজ শেখ (৩৫) নামে একজনকে গ্রেফতার করেন। সে উপজেলার কালামনখালি গ্রামের হানিফ শেখের ছেলে। পরে খুলনার পশ্চিম রূপসা ঘাট এলাকা থেকে প্রতারক চক্রের মূল হোতা মাহফুজুর রহমান (২৩) নামে আরো একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদের কাছ থেকে ১২৬টি মোবাইল সিম, ২টি ফিঙ্গার প্রিন্ট স্ক্যানার, ২টি বায়োমিট্রিক সিম নিবন্ধন ট্যাব, ৩টি মোবাইল জব্দ করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, প্রায় ৩০ টি অনলাইন পেজ থেকে এসব প্রতারকরা প্রতারনা করে আসছিল। এদের অধিকাংশের হোতা কালিয়া উপজেলার কয়েকটি গ্রামে। অভিযোগ পেলে পুলিশ এসব প্রতারকদের ধরে আইনের হাতে সোপর্দ করবে। এছাড়া গ্রাহকদের ভেরিফাইড পেজে যাচাই বাছাই করে অনলাইন কেনাকাটার আহবান জানান তিনি।
এসময় প্রেস ব্রিফিং এ উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন (প্রশাসন ও অর্থ, তারেক আল মেহেদী (ক্রাইম এন্ড অপস্, গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাব্বিরুল আলম, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সহ বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।