কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন : চাচার গাড়ী বিক্রির টাকা চুরি করতে গিয়ে চিনে ফেলায় দাদীকে হত্যা করে নাতি। জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য জানায় নিহত জোছনা বেগমের (৭০) হত্যাকারী নাতি। হত্যাকারী নিহত বৃদ্ধার বড় ছেলেয মিল্টনের কিশোর সন্তান।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনায় পুলিশ তিন কিশোরকে আটক করে স্বীকারোক্তি জবানবন্দীর জন্য আদালতে প্রেরণ করেছে।
এরআগে গত সোমবার দিনগত রাত ১১টার দিকে নেত্রকোনা পৌরশহরের নিউটাউন বিলপাড় এলাকা থেকে তালাবদ্ধ ঘর থেকে হাত-পা বাঁধা বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত জোসনা বেগম মৃত আবুল মুন্সীর স্ত্রী। নিহতের ছেলে নাজমুল হাসান রুজেন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি ও মিডিয়া মুখপাত্র) মো. লুৎফর রহমান জানান, বৃদ্ধা জোছনা বেগমের তিন ছেলের মধ্যে এক ছেলে বগুড়া, এক ছেলে বরিশালে থাকেন। বৃদ্ধা বড় ছেলে মিল্টন মোল্লার সাথে নিউটাউন বিলপাড়ের বাসায় বসবাস করতেন। ১০ দিন আগে মিল্টন বরিশালে যান কাজে। মিল্টনের স্ত্রীও জেলার আটপাড়া উপজেলায় বাবার বাড়িতে যান। এ কারণে কয়েকদিন যাবত বৃদ্ধা বাসায় এক ছিলেন। গত সোমবার রাতে মিল্টন বার বার ফোন করলেও তার মা ফোন ধরছিলেন না। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিহতের ভাই ফেরদৌস দরজার তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করেন। বোনকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় লাশ এবং ঘরের ভেতর আলমারির খোলা ও কাপড় ছাড়নো চিটানো অবস্থায় দেখতে পান।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে মঙ্গলবার ৩টার দিকে তিনজনক আটক করে পুলিশ। আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। আটককৃতদের তিনজনের একজন নিহতের বড় ছেলে মিল্টনের সন্তান (নিহতের নাতি) জানায়, তার চাচার গাড়ি বিক্রির ১০ লক্ষ টাকা দাদীর কাছে ছিল। সেই টাকা চুরি করে নেওয়ার জন্য সে তার দুই বন্ধুসহ বাড়িতে যায়। তার দাদী তাকে দেখে ও চিনে ফেলেন। যার ফলে তারা এ হত্যাকান্ড ঘটায়।