এ,এম স্বপন জাহান
মধ্যনগর উপজেলা প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের মধ্যনগরের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় কিছু মালামাল পুড়ে গেছে।মূহুর্তের মধ্যেই আগুনের কয়েকটি ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ছড়িয়ে পরে।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাত আড়াইটার দিকে মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের ০৩ নং ওয়ার্ডের গড়াকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, রাত আনুমানিক আড়াই টার দিকে দুর্বৃত্তরা উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের গড়াকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে।এতে কোন বড় ধরনের ক্ষয় ক্ষতি হয় নি বলে জানা যায়।
মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমরান হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে
ভোট কেন্দ্র পহরায় থাকা গ্রাম পুলিশ সদস্য আজিম বলেন,আমরা রাত জেগেই পহরা দিচ্ছিলাম।রাত একটু গভীর হওয়ায় ঘুমে হালকা একটু ঝিমাচ্ছিলাম এমন সময় রাত আনুমানিক ৩টার দিকে কয়েকজন লোক এসে আগুন দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়,আগুন দেখে আমি ভয়ে চিল্লাচিল্লি শুরু করলে আশেপাশের মানুষজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে।আমি অন্ধকারে কাউকে দেখতে পায় নি।
কিন্তু স্থানীয় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তার দাবী ঘটনার সূত্রপাত আওয়ামীলীগের নৌকার সমর্থকরা ঘটিয়ে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর দূষ চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলে দাবি করেন।স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি বদিউজ্জামান কাঞ্চন।তার ফেসবুক পোস্ট হুবুহ তুলে ধরা হল,
শিক্ষা শান্তি প্রগতি,,,নেতা মোদের রতন ভাই কেটলি মার্কায় ভোট চাই,,আমাদের ইউনিয়নের চাচা এবার ধরা খাইছেন,,রাতের চারটা বাজে,,নাশকতার অপচেষ্টায়,,গড়া কাটা কেন্দ্রে আগুন দিতে চায়,,আওয়ামী লীগ নৌকা,,প্রতীকের সমর্থকরা,,আর এর দায়ে চাপাতে চায়,,আমার ইউনিয়ন বিএনপি’র উপরে,,এতে আমি নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই,,চাচা কমিউনিস্ট করেছেন,,চাচা বিএমপি করেছেন,,কিন্তু প্রকৃত আওয়ামীলীগ রাজনীতিটা কিন্তু বোঝেন নাই।।বহিরাগ ত দেরকে অনুরোধ করে বলছি,,আপনারা নিজ নিজ এলাকায় চলে যান সুনামগঞ্জ ১ আসনের নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না।।।হাওরের শান্ত মানুষকে অশান্ত করবেন না।।তাহলে কিন্তু,,এর রেজাল্ট খুব একটা ভালো হবে বলে মনে করি না।।আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতারা যখন ঘুমায়,,,আমার চাচা তখনি পাঁচ মিনিটের মধ্যে,,ঘটনাস্থল ঘরাকাটা কেন্দ্রে উপস্থিত হোল,,চাচা আপনি কি জাদু জানেন।।আমার বাড়ি থেকে গড়াকাটা কেন্দ্র ৩ কিলো।।চাচার বাড়ি থেকে পাঁচ কিলো,,চাচা 5 মিনিটের মধ্যে যায় কি করে।।এটা হল আমার প্রশ্ন।।কেউ জানে না।।বহিরাগো তোরা কিভাবে জানে,,গড়া কাটা কেন্দ্রে আগুন লেগেছে।।চাচা নাটক বন্ধ করেন,,,নিজের সম্মান বজায় রেখে যেখানে আছেন,,সেখানেই থাকেন।। সাধারণ মানুষ অনেক সহ্য করেছে।।।৭থারিক সাধারণ ভোটারদের ভোট অধিকার নিশ্চিত করতে।।জননেতা হাওর বন্ধু ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ভাই,,একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।।আপনারা আপনাদের সুষ্ট ভাবে কেন্দ্রে গিয়ে স্বাধীনতার মাধ্যমে।। প্রয়োগ করুন।।
এদিকে আগুনের খবর পেয়ে নির্বাচন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন । পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত নিরাপত্তা জোর দার করা হয়।