শেখ হাসিনা বলেন, আমি জাতির পিতার কন্যা। কারও কাছে মাথা নত করি না, মাথা নত করব না। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসেছিল গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে। আমি গ্যাস বিক্রি করতে চাইনি বলে ষড়যন্ত্র করে আমাকে আসতে দেয়নি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নৌকা মার্কা ভোট পেলে আমি ক্ষমতায় আসতে পারবো। দেশে-বিদেশে অনেক চক্রান্ত আছে। সব মোকাবিলা করতে হবে। একটু জমিও যাতে অনাবধি না থাকে। শাক-সবজি মাছ মাংশ উৎপাদন করতে হবে। আমার গণভবন ছোট-খাটো খামার বাড়ি। ২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় এসে দেশকে জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়। ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে দেশ গড়তে নামি আমি।
অনেককে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, মিডিয়া চালানোর সুযোগ দিয়েছি। নিচ থেকে টেনে তুলেছি। তারা এখন অনেক টাকার মালিকা হয়েছে। নির্বাচনে টাকা ছড়াচ্ছে। টাকা দিয়ে মানুষ কেনা যায় না। শামীম হক নৌকার মাঝি। ফরিদপুর বাসীর কাছে তাকে তুলে দিয়ে গেলাম।
আ.লীগ সরকার অসহায় বৃদ্ধের জন্য বয়স্ক ভাতা চালু করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৯ লাখ ১০ হাজার প্রতিবন্ধিকে ভাতা দেয়া হয়। সারাদেশে বিনামূল্যে বই দেয়ার ব্যবস্থা করছে সরকার। মায়েদেরকে মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান করি আমরা। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে চাই। গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি করেছি। ২০২৩ সালে সাড়ে ১২ হাজার টাকায় উন্নীত করেছি।
এদিকে নির্বাচনি জনসভাকে কেন্দ্র করে আজ সকাল থেকেই আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেন। ফরিদপুরের বিভিন্ন আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের নেতাকর্মীরা মিছিল করে এই সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন। বিভিন্ন রঙের টিশার্ট, টুপি পরে মিছিল নিয়ে আসছেন তারা।
ব্যানার, পোস্টার এবং জাতীয় ও দলীয় পতাকা নিয়ে তারা মিছিল করছেন। কাঠ ও কাগজের বিভিন্ন ধরনের নৌকা মিছিলে এসেছেন। বিভিন্ন ধরনের স্লোগানও দিচ্ছেন নেতাকর্মীরা। ঢোল, বাঁশিসহ নানা ধরনের বাদ্যের সঙ্গে তারা নেচে স্লোগান দিচ্ছেন।
সমাবেশ পরিচালনা করছেন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শা মো. ইশতিয়াক আরিফ।
সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের স্থায়ী মঞ্চটি নৌকার আদলে সাজানো হয়েছে জনসভা উপলক্ষে। মাঠে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আলাদা বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকছে। তিনটি ফটক দিয়ে মাঠে প্রবেশ ও বের হওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা জনসভাস্থলে এসে হাজির হয়েছেন। দুপুরে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠে জনসভাস্থল।
শহর ঘুরে দেখা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ফরিদপুর পৌরসভার পক্ষ থেকে রাস্তার ছোটখাটো মেরামতসহ সাজসজ্জা করা হয়েছে। শহরের প্রতিটি মোড়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।