দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

“একটু আয়ুন দেইখা যাইন আমি কইনো থাহি,ভাঙাডাঙা ঘরো সবখাইনদিয়া বাতাস আইয়ে,ভালা খ্যাতা তুষকও নাইগা এই ঠান্ডার মইধ্যে কষ্ট কইরা থাকতাছি” এভাবেই ওপরের কথাগুলো বলছিলেন সত্তোর বছর বয়সী বৃদ্ধ ইয়াকুব আলী।

ইয়াকুব আলীর বাড়ি নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের কেরনখলা গ্রামে। মৃত শফর আলী মুন্সির ছেলে তিনি।

বৃদ্ধ ইয়াকুব আলী জানান,তার এক ছেলে ও তিন মেয়ে। স্ত্রী মারা গেছেন প্রায় ২০ বছর আগে। মেয়েরা শশুর বাড়িতে। আর ছেলে পানের দোকান করে এ থেকে যা আয় হয় তা দিয়েই কোনোভাবে স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে কষ্টে সংসার চলে। সেখানে তিনিও তাদের সঙ্গে থাকলেও মানুষের কাছে সাহায্যের হাত পাত্তেও হয় তার। নিজের জমিজমা বলতে কিছুই নেই। বয়স বাড়ার সাথে সাথে শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে বাসা বেঁধেছে শরীরে। তাই খেতে হয় ঔষধ।

ইয়াকুব আলী বলেন,এখন খুবই কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। বসবাসের ঘরটিও ভাঙা,চারপাশটা ভাঙা কিছু টিন আর ছেড়া কাপড়,পলিটিন দিয়ে ঘেরা। ভেতরে এক কোনায় বসানো একটি ছোট চৌকি। তার মধ্যে নেই ভালো একটা খেতা,তুষক। এখন শীতে বৃদ্ধ বয়সে এই খোলামেলা ঘরে কষ্টে কাটে রাত। যেখানে তিনবেলা খাবার খাওয়ায় দূর্বিষহ সেখানে একটু শান্তিতে ঘুমানো যেন তার শুধুই স্বপ্ন।

তিনি আরও বলেন,কেউ যদি একটু মাথা গোজার ঠাঁই হিসেবে ঘরটি ঠিকঠাক করে দিতো,তাহলে হয়তো শেষ বয়সে শান্তিতে ঘুমাতে পারতেন তিনি।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version