শার্শা প্রতিনিধিঃ
বেনাপোল বন্দরে ভারত থেকে আমদানি করে আনা প্রায় ৪২ মেট্রিক টন (৪১,৯০০ কেজি) মহিষের চামড়া জব্দ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কাগজপত্রের জটিলতার কারণে সাময়িকভাবে পণ্য চালানটি জব্দ করা হয়েছে। পণ্য চালানটি গত ১৯ ডিসেম্বর বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করলেও বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বেনাপোল কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার মীর্জা রাফেজা সুলতানা জব্দের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জব্দকৃত এ চামড়ার চালানটির আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হলো চানপুর টেনারি লিমিটেড ঢাকা। পণ্য চালানটির মেনিফেস্ট নং-৬৪৭৭৪। পণ্য চালানটি খালাসে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করেন বেনাপোলের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সুপ্রিম অ্যাসোসিয়েট।
আমদানি নীতি আদেশ ২০২১-২০২৪-এর অনুচ্ছেদ-২৯ অনুযায়ী, প্রাণী ও প্রাণীজাত পণ্য, উদ্ভিদ ও উদ্ভিজ পণ্য এবং মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে কোয়ারেন্টাইন শর্তাবলি প্রযোজ্য হবে এবং উদ্ভিদ ও উদ্ভিদ জাত পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে উদ্ভিদ সংগনিরোধ আইন ২০১১ এবং প্রাণী ও প্রাণীজাত পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পশু ও পশুজাত পণ্য সংগনিরোধ আইন ২০০৫ মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে মৎস্য সংগনিরোধ আইন ২০১৮-এর বিধানাবলী প্রযোজ্য হওয়ার বিধান রয়েছে। পণ্য চালানটি খালাশে ২০০৫ মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে মৎস্য সংগনিরোধ আইন ২০১৮-এর বিধান (শর্ত) প্রতিপালন না হওয়ায় পণ্য চালানটি সাময়িক জব্দ করা হয়েছে বলে জানান বেনাপোল কাস্টমস ডেপুটি কমিশনার মীর্জা রাফেজা সুলতানা।
এই পত্রে আরও জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ পশু ও পশুজাত পণ্য সংগনিরোধ আইন ২০০৫ অনুযায়ী সার্টিফিকেটের প্রয়োজন আছে কিনা সে বিষয়ে জানানোর জন্য আমদানিকারককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার জানান, সাময়িকভাবে চামড়াগুলো জব্দ করা হয়েছে। পণ্য চালানটিতে কোনো জীবাণু আছে কিনা তা পরীক্ষা–নীরিক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
শার্শা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বিনয় কৃষ্ণ মন্ডল জানান, বাংলাদেশ প্রাণী ও প্রাণীজাত সম্পদ আইন ২০০৫ অনুযায়ী গরু বা মহিষের চামড়া কোনো দেশ থেকে আমদানি করতে হলে কোরান্টাইন বা প্রাণী বা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর হইতে এবং ব্যাংক থেকে ঋণপত্র খোলার পূর্বে অধিদপ্তরের অনুমতি সার্টিফিকেট প্রযোজ্য। কোরেন্টাইনের সার্টিফিকেট ব্যতিরেখে এ ধরনের পণ্য আমদানি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, এই ধরনের কাঁচা চামড়া থেকে অ্যানথ্রাক্স রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে। এজন্য এ ধরনের পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে আগে থেকে অনুমতি নিতে হয়।