এ,এম স্বপন জাহান
মধ্যনগর উপজেলা প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিনুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার বিকেলের দিকে মধ্যনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মিজানুর রহমান মিনু মধ্যনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের কান্দাপাড়া গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম আব্দুল লতিফ তালুকদারের ছেলে।
মধ্যনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমরান হোসেন গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে।তবে কোন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে এখনো জানা যায় নি।
মধ্যনগর উপজেলা বিএনপি সূত্রে জানা যায়,গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশে যোগ দেওয়ার সময় মধ্যনগর উপজেলা বিএনপির কয়েকজন নেতা ঢাকায় পুলিশের হাতে আটক হয়।এর মধ্য উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ছাত্রদলের সদস্য সচিবও ছিল।এরপর থেকেই উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আত্মগোপনে চলে যায়,বিগত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে বিএনপি ও ছাত্রদলের কোন কর্মসূচীতেও তাকে দেখা যায় নি।এমনকি উপজেলা ছাত্রদলের ব্যানারে গত ২ মাসেও কোন প্রোগ্রামে তাকে ও তার সংঘটনের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি চোখে পরার মত ছিল না।একধরনের নিষ্ক্রিয় হয়ে ছিল এই সংগঠনটি।এমন অবস্থায় হঠাৎ তার গ্রেপ্তারে আলোচনা সমালোচনা ও আতংকিত হতে দেখা গিয়েছে নেতাকর্মীদের মাঝে।অনেকে মনে করছে পালিয়ে থেকে কি লাভ হইলো,গ্রেপ্তার তো হতেই হইলো,আবার অনেকে বলছে ভিন্ন কথা গ্রেপ্তার, হামলা,মামলা থেকে বাঁচতে অনেকেই নাকি গোপনে গোপনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামিলীগের মনোনীত প্রার্থীর নৌকায় উঠছে।অনেকে গ্রেপ্তার থেকে বাঁচতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেও শেষ রক্ষা হচ্ছে না বলে জানা যায়।
এবিষয়ে মধ্যনগর উপজেলা বিএনপির নেতা ও সুনামগঞ্জ জেলা যুবদলের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সহ সম্পাদক এম শহীদ জানান,রাজনীতি করতে হলে জেল জুলুম, মামলা, হামলার স্বীকার হতে হবে এটাই স্বাভাবিক।রাজনীতি করলে তো আর ফুল বিছানায় ঘুমানো যাবে না।আমাদের থেকেও অনেক বড় বড় নেতারা নির্ঘুম রাত্রী যাপন করছে।তাই বলে কি মাঠ ছেড়ে দিয়েছে?আমি একটি সংগঠনের প্রদান পদে থেকে যদি দলের দুর্দিনে দল ও দলের নেতাকর্মীদের পাশে না থাকতে পারি,গ্রেপ্তারের ভয়ে মাঠ ছেড়ে পালিয়ে যাই। তাহলে আমার এত বড় পদ নেওয়ার কি দরকার,যদি রাজপথে থেকে গ্রেপ্তার, মামলা,হামলাই প্রতিরোধ না করতে পারি তাহলে রাজনীতি বাদ দেওয়া উচিত। ছাত্রদলের আহ্বায়কের গ্রেপ্তারে আগামী আন্দোলন সংগ্রামে কোন প্রভাব পরবে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে এম শহীদ বলেন,বিএনপি এমন একটি দল যেখানে তৃণমূলের একজন কর্মীও এই দলের নেতৃত্ব দিতে পারে।আর বর্তমানে কে নেতা কার কি পদ সেগুলো দেখার সময় নেই।দেশ নায়ক তারেক রহমানের ম্যাসেজ ক্লিয়ার যার যার অবস্থান থেকে যেকোন মূল্যে বাকশালি, ফ্যাসিবাদ সরকারের ডামি নির্বাচন বাতিল করতে হবে।আমরা সে হিসেবেই আগাচ্ছি। যেহেতু নিএনপি ভোটের মাঠে নেই, আগামী ৭ তারিখ সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা কোন প্রার্থীর পক্ষে ভোটে অংশ গ্রহন করবে কিনা? এমন প্রশ্নে বলেন,যারা শহীদ জিয়ার আদর্শে বিএনপি করে তাদের জীবন চলে গেলেও নীতি আদর্শের সাথে বেঈমানী করবে না।আর যারা দল করে বড় বড় পোস্ট পদবী হাতিয়ে নিয়ে ভিতরে ভিতরে সরকারের দালালী করে তাদের কথা তো ভিন্ন। তারা তো দলের দালাল।
তিনি আরও বলেন,যেহেতু গত ১৩ নভেম্বর বিএনপির ডাকা অবরোধের সমর্থনে অবরোধ পালনের সময় আমি সহ আমাদের বেশ কিছু নেতাকর্মী গ্রেপ্তার ও মিথ্যা মামলার স্বীকার হয়েছি।পুলিশ আমাদের হন্নে হয়ে খুজছে।তাই একটু কৌশল অবলম্বন করে চলছি।তবে আগামী আন্দোলন ও ডামি নির্বাচনের বাতিলের দাবিতে দলীয় সকল কর্মসূচিতে জীবন দিয়ে হলেও সফল করার চেষ্টা করবো।প্রয়োজনে সেচ্ছায় কারাবরণ করবো।