আরিফ শেখ, রংপুর প্রতিনিধিঃ
নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার খাতামধুপুর ইউপির মুশরুতধুলিয়া দামেরপার এলাকার কয়েকজন প্রতিবেশী পরিবার কর্তৃক ইলিয়াস শাহ’র আবাদি জমিতে বসত বাড়িতে ব্যবহৃত নোংরা ও দুর্গন্ধময় ময়লা পানি ফেলে জমিটি নোংরা কর্দমাক্ত ও অনাবাদি করার অপচেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, এস এম ইলিয়াস শাহ্, পিতা- মৃতঃ আলহাজ্ব সৈয়দ ইয়াকুব আলী শাহ্, গ্রাম- মুশরুতধুলিয়া দামের পার, ডাকঘর- ময়দানপুর, উপজেলা- সৈয়দপুর, জেলা- নীরফামারী। তিনি পেশাগত ও সন্তানদের পড়ালেখা করার কারনে পরিবার নিয়ে তারাগঞ্জ উপজেলার সদর ইউপি’র পাশে নিজ বাসায় বসবাস করেন। বর্তমান চাকুরী থেকে অবসর গ্রহনের পর তিনি চাষাবাদে পূর্ণমনোযোগ দিয়েছেন। কিন্ত তার পৈতৃক সম্পত্তির ৩৮১০, ৩৮১১, ৩৮৪১ ও ৩৮৪২ দাগের মোট ১ একর ২৯ শতাংশ জমি চাষ করতে চরম বিড়ম্বনায় পরেছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তার গোটা জমির তিনদিক দিয়ে বসতবাড়ির ময়লা পানি ফেলে চাষাবাদি জমিটিকে জমির শ্রেণি পরিবর্তনের মতো অপরাধে লিপ্ত হয়ে আবাদি জমিটি অনাবাদি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবর করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, দামের পাড় এলাকায় জমি সংলগ্ন বসবাসকারী অভিযুক্ত- মোঃ খায়রুল ইসলাম(৪০), মোঃ ফজলার রহমান(৫৫), মোঃ সিরাজুল ইসলাম(৬৫) ও তাদের পরিবার সর্ব সাং গ্রাম- মুশরুতধুলিয়া দামের পার, ডাকঘর- ময়দানপুর, উপজেলা- সৈয়দপুর, জেলা- নীরফামারী। প্রতিবেশী জুলুমবাজদের বসত বাড়িতে ব্যবহৃত নোংরা ও দুর্গন্ধময় ময়লা পানি তিনদিক দিয়ে ফেলে আবাদি জমিটি নোংরা কর্দমাক্ত ও অনাবাদি করে ফেলেছে। একাধিকবার নিষেধের পরেও তারা দুর্গন্ধময় ময়লা পানি ফেলা বন্ধ করছেন না, নিষেধ করতে গেলেও উল্টো বিভিন্ন সময় তারা ইলিয়যাশ শাহ্কে গালিগালাজ করে এবং হুমকী দেয়।
ভূক্তভোগী ভরাক্রান্ত কষ্ট নিয়ে বলেন, তুলনামুলক জমিটি এমনই নীচু, তার ওপর এভাবে নোংরা ও বিষাক্ত পানিতে কর্দমাক্ত করায় কোন ভাবেই চাষাবাদ করতে পারিছ না। জমিতে কাজের জন্য লেবার নিলে জমিটি ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত নোংরা পানিতে কাজে করতে চায় না। ফসলি জমিটি চারদিকের দূষিত পানিতে একাকার হওয়ায় রয়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। প্রতিবেশীদের নানা মূখী অত্যাচারে কমে যাচ্ছে জমির ফসল উৎপাদন, ফলে চাষাবাদ থেকে লাভ তো দুরের কথা লোকসান গুনতে হচ্ছে। ফসল রোপন করতে গিয়েও হচ্ছেন বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন। এছাড়াও জমির উত্তর দিকে স্থানীয় জন-প্রতিনিধি রাস্তার গাইড ওয়াল নির্মাণ করেছিল। গাইড ওয়ালটির কাজ নিম্ন মানের হওয়ায় ও অভিযুক্তদের অত্যাচারীত চাপ ও খাইরুলের বসতবাড়ীর ব্যবহৃত ময়লা পানি ওয়াল চুঁয়ে চুঁয়ে পরায় রাস্তার গাইড ওয়ালটি ভেঙে পরেছে তার ঐ জমিতে। ফলে জমির অনেক খানি জায়গা পরিত্যাক্ত হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে ইলিয়াশ শাহ্ এর তফশীল বর্ণিত উল্লেখিত দাগের জমি নিয়ে যে সব সমস্যা নিয়ে স্থানীয় অভিযুক্তদের জুলুমের শিকার হয়েছেন তার সত্যতার প্রমাণ মিলেছে। ঘটনাস্থলে দেখা যায় ইলিয়াশ শাহ্ এর আবাদি জমিটি প্রতিবেশী খায়রুল ইসলাম, ফজলার রহমান ও সিরাজুলের বসতবাড়ীতে ব্যবহৃত উচ্ছিষ্ঠ বর্জ ও ময়লা পানি ফেলে জমিটির তিনদিকে নোংরা কর্দমাক্ত ও অনাবাদি কারারেউপক্রম করেছে। এবং জমির এক ধারে রাস্তার গাইড ওয়াল ধসে পরে আছে।
অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সাথে কথা হলে খাইরুল বলেন, বাপ দাদার আমল থেকে আমরা এভাবে পানি ফেলে আসছি, এখন আলাদা কি চিন্তা করবো। সিরাজুল ইসলাম উত্তেজিত কণ্ঠে জমির মালিক ইলিয়াশ শাহকে উদ্দেশ্য করে কটাক্ষবাণী ছুরেন এবং অন্যের জমিতে এভাবে জুলুম করা যে অন্যায় তা মেনে নিতে সম্মত ছিলেন না। খাতামধুপুর ইউপি’র সংরক্ষিত মহিলা সদস্য’র স্বামী ও উক্ত ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য ফজলার রহমান অন্যায় স্বীকার করে বলেন, এখন তারা পানি ফেলছেন না। তবে এখনও পানি নিষ্কাশন পাইপ বিদ্যমান।