চনমান দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-৪ সরিষাবাড়ী আসনে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুর ও অন্তত ১০ জনকে আহত করার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকার সমর্থকদের বিরোদ্ধে।
এ ঘটনায় মামলা হলে এক জনকে আটক করে আদালতে প্রেরন করেন সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) রাত ৮ টায় সরিষাবাড়ী পৌর এলাকার তাড়িয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, পৌরসভার শিমলাপল্লী গ্রামের তাড়িয়াপাড়া এলাকায় কয়েকদিন আগে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল প্রতিক) মোঃ মুরাদ হাসান একটি নির্বাচনী ক্যাম্প নির্মান করেন। সোমবার রাত পৌণে আটটার দিকে তার কর্মী-সমর্থকরা ওই নির্বাচনী ক্যাম্পে যাচ্ছিলেন। ওই ক্যাম্পের সামনে পৌঁছামাত্র আগে থেকে উতপেতে থাকা নৌকার প্রতিকের কর্মী সমর্থকরা লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালালে দুই পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ বাঁধে।
এতে ঈগল প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ মুরাদ হাসান এর দশ সমর্থক আহত হয়।
আহতরা হলেন মাইজবাড়ী গ্রামের রইচ মন্ডলের ছেলে রুবেল (৩০),আলা উদ্দিনের ছেলে সাদ্দাম (৩২), রইচ উদ্দিনের ছেলে রোকন (২৮), সুরুজ্জামানের ছেলে কফিল সরকার (২৫), মরহুম শামছুল এর ছেলে দিলখুশ (৪০), তাড়িয়াপাড়া গ্রামের শাহীনের ছেলে হামজা(১৮), শিমলা পল্লী এলাকার আহমেদ আলীর ছেলে ফারুক (২৫), আব্দুল জলিলের ছেলে ফরহাদ (২২)।
সংবাদ পেয়ে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুশফিকুর রহমান এর নেতৃত্বে পুলিশ ও জামালপুর র্যাব ১৪ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. আবরার ফয়সাল সাদীর নেতৃত্বে র্যাবের একটি টিম এসে ২ পক্ষকে ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে এ ঘটনায় একই এলাকায় নৌকার নির্বাচনী অফিসও ভাংচুর করা হয়েছে বলে দাবি করেন নৌকা সমর্থকেরা।
এ ঘটনায় মুরাদ হাসানের প্রতিনিধি পৌর কাউন্সিলর সাখাওয়াত আলম মুকুল বাদি হয়ে এমডি রানা সরকারকে প্রধান আসামি করে ২০/ ২৫ জন ( আজ্ঞাত) সরিষাবাড়ী থানায় ১৭ / ২৬-১২-২০২৩ নং মামলা দায়ের করেন। মামলায় এমডি রানা সরকারকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করেন।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মোঃ ফয়সাল আহম্মেদ জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে মামলার ১ নং আসামীকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।