জসিম উদ্দীন, নেত্রকোণা
চেম্বার শব্দের সাথে সবাই পরিচিত। নাম শুনলেই সবাই ভেবে থাকবেন হয়ত আড্ডা খানা কিংবা গ্রাম্য সালিশ বৈঠক ঘর, যেখানে অজস্র মানুষের হড্ডগোল থাকবে। কিন্তু সব কথার উল্টোটা করে দেখিয়েছেন কৈলাটি ইউনিয়ন যুবলীগের সম্পাদক রুবেল তালুকদার।
তার চেম্বারে ডুকলেই যে কারো চোখে পড়বে স্তরে স্তরে সাজানো বহু লেখকের বই, তার মধ্য উল্লেখযোগ্য কারাগারের রোজনামচা, অসমাপ্ত আত্মজীবনী, আমার দেখা নয়াচীন, সেরা একশত মানুষের জীবনী সহ বিভিন্ন লেখকের বই। এই ব্যাতিক্রমী উদ্যোগের পিছনে যোক্তিক কারণও দেখিয়েছেন তিনি বর্তমান সমাজ যেভাবে ইন্টারনেটের দিকে ঝুকিয়ে পড়ছে। বই পড়ায় হেলা চলে আসছে কম সংখ্যক মানুষ এখন বই পড়েন। বইকে মানুষকে জীবনে একটি অবিচ্ছেদ অংশ হিসেবে ধরে রাখার ক্ষুদ্র প্রয়াস চেম্বারে বই পড়া উদ্যোগ।
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রচুর জ্ঞান অর্জন করতে হবে, তারই পেক্ষিতে যুবসমাজ বিশ্ব সম্পর্কে জানতে হলে বই পড়া বাধ্যতামূলক করতে হবে। ‘মানুষ আসলে শ্রেষ্ঠ না, তাকে শ্রেষ্ঠ হয়ে উঠতে হয়। আর শ্রেষ্ঠ কিংবা ব্যতিক্রম হতে হলে অবশ্যই তাকে বইয়ের কাছে আসতে হবে, পড়তে হবে নির্বাচিত বই৷ আর একবার বই পড়া শুরু করলেই ধীরে ধীরে আত্মপরিচয়ের অন্বেষণে যেতে পারে মানুষ। তাতেই এগিয়ে যায় সময় ও সমাজ।’ বই পড়ার অভ্যাস মানুষের নীরবে কিংবা সরবে হলেও কালের পরিক্রমায় মানুষ তথ্য জানার জন্য বারবার কিছু পড়ার প্রতি মনোনিবেশ করেছে। বই পড়া মানুষের এমন একটি দক্ষতা, যার কারণে মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার দ্রুত উন্নতি সাধন হয়। পাঠ অভ্যাস থেকে বিরত থাকা একটি অনেক বড় ধরনের অদক্ষতার পরিচায়ক। অনেক সমাজ ও রাষ্ট্রে দেখা যায়, পাঠ কিংবা বই পড়ার আগ্রহ তৈরি করার জন্য তাদের তেমন কোনো কর্মসূচি নেই।
বলছিলাম নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার কৈলাটি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রুবেল তালুকদারের কথা তার এই ব্যাতিক্রমী উদ্যোগের জন্য প্রশংসাও পাচ্ছেন বিভিন্ন মহল থেকে । সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চেম্বারে বেশ কয়েক জন দর্শনার্থী চেয়ারে বসে বই পড়ছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের লেখা কারাগারের রোজনামচা, শহীদুল্লাহ কায়সারের সংশপ্তক, শেক্সপিয়রের রচনা সামগ্রী, রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্প, সহ বিভিন্ন কবি ঔপন্যাসিক, ছড়াকারের বই।