দল বদল আমার অধিকার। সংবিধানের কোথাও দল বদল করা যাবে না এমনটা লেখা নেই বলে মন্তব্য করেছেন সদ্য বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা ও ঝালকাঠি-১ আসনে নৌকার প্রার্থী ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর। বলেন, শের-ই বাংলাও দেশের স্বার্থে বহুবার দল বদল করেছেন।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে বরিশাল নগরীতে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আমির হোসেন আমুর বাসভবনে এক বৈঠকের পর তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকে ঝালকাঠি-১ আসনের রাজাপুর ও কাঠালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচনি এলাকা রাজাপুর-কাঁঠালিয়ার সর্বশেষ পরিস্থিতি জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। তবে এসব প্রসঙ্গ এড়িয়ে ব্যারিস্টার ওমর বলেছেন, কীভাবে বিএনপিতে গেলেন এবং আওয়ামী লীগে ফেরত আসার কাহিনি বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ‘৭৪ সালে একটি মামলায় জড়িয়ে কারাগারে যাওয়ার পর তিনি সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত হয়ে বিপদগ্রস্ত হন। তখনকার সময়ে বরিশাল আওয়ামী লীগের এক ছাত্রনেতা নুরুল ইসলাম মঞ্জুর (প্রয়াত) সঙ্গে তার ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তখনকার মন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাত (পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট শহিদ), তার ছেলে বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এবং আমির হোসেন আমু তাকে সাহায্য করেছিলেন। হাসানাত আবদুল্লাহ কয়েকবার তাকে কারাগারে দেখতে গেছেন। তিনি বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীতে তার শিক্ষক ছিলেন। সেই পরিচয় সূত্রে বিএনপিতে গিয়েছিলেন।
শাহজাহান ওমর জানান, ১৯৯০ সালে আমির হোসেন আমু তাকে ঝালকাঠি-১ আসন থেকে মনোনয়ন দেয়ার জন্য শেখ হাসিনার কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু তখন শেখ হাসিনা অন্য একজনকে কথা দিয়ে ফেলেছিলেন। পরে আমির হোসেন আমু তাকে বিএনপিতে ফিরে যেতে বলেছিলেন।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, সাংবাধানিক ধারাবাহিকতা ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শাহজাহান ওমর আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন। এ সময় বিএনপির ডাকা অবরোধ-হরতালে জনগনের কোন সম্পৃক্ততা নেই, তারা জনগন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।