বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ-

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) চিকিৎসা কেন্দ্রে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ প্রদানের অভিযোগ উঠেছে।

 

গত রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) ফাইন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মামুন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অভিযোগ করে লেখেন, তাকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ দেওয়া হয়েছে। যা গত নভেম্বর মাসের ১০ তারিখে মেয়াদ শেষ হয়েছে।

 

এই বিষয়ে আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন,” অসুস্থতার জন্য আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে ডাক্তার দেখিয়ে ঔষধের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে ঔষধ আনতে গেলে আমাকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ প্রদান করেন। তখন আমি ঔষধের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার কথা বলি।এতে তারা বলেন মেয়াদ বেশী দিন উত্তীর্ণ হয়নি, আর মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার তিন মাস পর্যন্ত খাওয়া যায় বলে বলেন। তাদের এই কথা শুনে আমি সেখান থেকে ঔষধ নিয়ে চলে আসি।”

 

এই বিষয়ে জানার জন্য সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা.অভিষেক বিশ্বাস এর সাথে মেডিকেল সেন্টারে কথা বলতে গেলে সেখানে তাকে অনুপস্থিত পাওয়া যায়। পরবর্তীতে একাধিক বার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

 

এই বিষয়ে মেডিকেল অফিসার ডা. লিখন চন্দ্র বালা বলেন,”আমরাতো মেডিকেল অফিসার আমরা রোগী দেখি এবং ব্যবস্থাপত্র দি, এখন ঔষধের বিষয় তো আমরা দেখবো না। তাই এই বিষয়ে আমরা বক্তব্য দিতে পারবো না।এই বিষয়ে মেডিকেল প্রধান বলতে পারবে।”

 

মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ দেওয়ার বিষয়ে সিনিয়র নার্স যুথী আক্তার দাবী করেন,একটি বক্সে অল্প কয়েকটি ঔষধ মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় ঔষধ গুলো ফেলে দেওয়ার জন্য এক পাশে রেখে দি।আমি ওয়াশরুমে গেলে আমাদের স্টার্ফ ভুল করে ঔষধ টি দিয়ে দেয়।এটা ভুলে চলে গেছে।

 

উল্লেখ্য যে কিছু দিন আগেও অফিস সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে উপস্থিত  চিকিৎসক, নার্স, স্টাফ, এমনকি প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জামের অভাবে নিজের চিকিৎসা নিজেই করেন বিশ্ববিদ্যালয় ফার্মেসি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে উপাচার্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version