হযরত আলী,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা সীমান্ত থেকে খালেক মাহমুদ শান্ত(১৮) নামের এক বাংলাদেশী নাগরিককে আটক করে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। শান্তের পরিবারের দাবী শান্ত মানসিক ভারসম্যহীন। আর স্থানীয়রা বলছেন শান্ত গরু পারাপার করতে গিয়ে আটক হয়েছেন।
গত বুধবার রাত ১১ টায় উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের বাড়াইপাড়া সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে আটক করে বিএসএফ।
আটককৃত শান্ত উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের টংভাঙ্গা গ্রামের রমজান আলী কবিরাজের ছেলে। এছাড়া সে হাতীবান্ধা এসএস সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড টেকনিক্যাল কলেজের বিএম শাখার উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, গত বুধবার রাতে উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের বাড়াইপাড়া সীমান্ত এলাকার ভারতীয় কাটাতার ঘেষা এলাকায় কয়েকজন যুবকসহ শান্ত সেখানে যায়। এ সময় ভারতের নীলাপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা তাদের ধাওয়া করলে বাকিরা পালিয়ে যায়। আর শান্তকে বিএসএফ আটক করে নিয়ে যায়। তবে সঠিক কি কারনে তাকে বিএসএফ আটক করেছে তা এখনো জানা যায়নি।
এ বিষয়ে খালেক মাহমুদ শান্তের বাবা রমজান আলী কবিরাজ বলেন, আমার ছেলে কেন? কার সাথে সীমান্ত এলাকায় গেছে আমি জানিনা। শুনেছি আমার ছেলেকে বিএসএফ ধরে নিয়ে গেছে। পরে গরু ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে খোঁজ খবর নিয়ে যেনেছি যে তাকে রাত ১২টায় ভারতের মাথা ভাঙ্গা থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করেছে বিএসএফ। এছাড়া আমার ছেলের মানসিক সমস্যা রয়েছে। মাঝে মাঝে সে মানসিক সমস্যায় পড়ে কি করে না করে সে নিজেও জানে না। আমার ছেলে এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরিক্ষা দিবে। আমি আমার ছেলেকে ফেরত চাই।
এ বিষয়ে শান্তের মা ইসমোত আরার কাছে জানতে চাইলে তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার বাবাকে আমি ফেরত চাই। তাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। আপনারা আমার বাবাকে এনে দেন বলেই হাউ মাউ করে কান্না শুরু করেন।
এ বিষয়ে টংভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সেলিম হোসেন বলেন, বিষয়টি শুনে শান্তের পরিবারের সাথে কথা বলেছি। বিষয়টি নিয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে সিংগীমারী বিজিবি ক্যাম্পের ইনচার্জ নাসির হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বিজিবি ব্যাটলিয়নের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেন। এ কথা বলেই তিনি কলটি কেটে দেন।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জানা নেই। খবর নিয়ে জানানো হবে।
এ বিষয়ে জানতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি-৬১ তিস্তা ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল শেখ মোহাম্মদ মুসাহিদ মাসুমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কলটি রিসিভ করেননি।