বিএনপিসহ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী দলগুলো যদি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ বা কর্মসূচি সরকারের অনুমতি নিয়ে পালন করে তবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে নির্বাচন ভবন ত্যাগ করার সময় সাংবাদিকদের কাছে এমন ব্যাখ্যা দেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
ভোটকে নিরুৎসাহিত করে এমন সভা-সমাবেশের অনুমতি না দিতে মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেয় ইসি।
সেই নির্দেশনার ব্যাখ্যায় মো. আলমগীর বলেন, নির্বাচনি আচরণবিধি বা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে বলা হয়েছে নির্বাচনে যদি কেউ বাধা দেয় বা প্রতিহত করে তাহলে আইন অনুযায়ী এটা অপরাধ। আমরা সেটার পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছি যে, এই রকম যদি কোনো রাজনৈতিক দল কর্মসূচি দিয়ে থাকে, সেটা করা যাবে না।
যদি ভোট বিরোধী বক্তব্য না দেয় শান্তিপূর্ণ এবং সেই কর্মসূচি করার যদি অনুমতি না দেয় তাহলে সেটা মানবাধিকার লঙ্ঘন কিনা- এ বিষয়ে আমাদের কোনো নিষেধাজ্ঞা নাই। আমাদের বিষয়টা হলো যে কোনো কর্মসূচি করতে হলে সভা-সমাবেশ করতে হলে সরকারের অনুমতি নিতে হয়। সেক্ষেত্রে তারা সরকারের অনুমতি নেবে। সরকার যেখানে অনুমতি দেবে, সে বিষয়ে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই। আমাদের বক্তব্য হলো যদি নির্বাচন বাধা সংক্রান্ত কোনো সভা-সমাবেশ ও আন্দোলন কর্মসূচি থাকে, সেটাকে যেন অনুমতি না দেওয়া হয়।
নির্বাচনে অংশগ্রহণ যারা করছে না, তাদের সভা-সমাবেশ করতে কোনো নিষেধাজ্ঞা আছে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, আমরা কোনো দলের নাম বলিনি, কে করবে কে করবে না। আমরা বলেছি আমাদের আইনে যেটা আছে নির্বাচনের বিরুদ্ধে যদি কাজ করে। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি প্রচলিত নিয়ম মেনে অনুমতি নিয়ে করতে হয়। সেটা পেলে করবে, অসুবিধা তো নেই।
এ নিষেধাজ্ঞার ফলে বিএনপিসহ অন্যান্য দলের রাজনৈতিক অধিকার ক্ষুণ্ন হলো কি-না-এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, বিএনপি নয়, যে কোনো দল যদি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি হয়, আমাদের কোনো নিষেধাজ্ঞা নাই। যদি কোনো সন্ত্রাসীমূলক কর্মকাণ্ড, ভোটদানে বাধা দেবে, কাল যেমন রেললাইন কেটে দিয়েছে, এ ধরনের কর্মকাণ্ড যেন না হয় সেজন্য আমরা বলেছি।
সমাবেশ করার অনুমতি দেবে তো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সেটা নিয়ে তো আমাদের বাধা নেই।