শার্শা প্রতিনিধিঃ
সারা দেশে সড়ক পথের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি সাধনে সরকার যখন বদ্ধ পরিকর, ঠিক সেই মূহুর্তে এটাকে পূজি করে ফাঁয়দা লুটতে ব্যাস্ত কিছু একক সুবিধাবাদী লোকজন। এমনই চিত্র পাওয়া গেছে যশোরের শার্শার বাগআঁচড়া এলাকায়।
সম্প্রতি যশোর টু সাতক্ষীরা প্রস্তাবিত ৬ লেনের একটি সড়ক বাস্তবায়নে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারি হলে সরকারের বিভিন্ন সড়ক বাস্তবায়ন সংস্থা কার্যক্রম শুরু করে, তারই ফলশ্রুতিতে নাভারণ টু সাতক্ষীরা সড়কের জামতলা টু বেলতলা বাইপাস সড়ক নির্মান হবে শোনার পরে নড়েচড়ে বসে বাগআঁচড়া এলাকার কোটি কোটি টাকার ব্যাংক লোনধারী সুবিধাবাধী একটি মহল যারই পরিপেক্ষিতে তারা অল্প কিছু মানুষ ম্যানেজ করে বাইপাস সড়ক নির্মাণের বিরোধিতা করে মানববন্ধন সহ বিভিন্ন দপ্তরে দৌড়ঝাপ শুরু করে।
সূত্রে জানা যায়, সারা বিশ্ব যখন বৈশ্বিক মন্দার কবলে তখন, সরকার উপায় খুজছে স্বল্প খরচে কিভাবে টেকসই রাস্তা নির্মাণ করা যায়। বাগআঁচড়া শার্শার একটি বড় বাজার এর উপর দিয়ে ৬ লেন রাস্তা বাস্তবায়নে জমি অধিগ্রহণ করতে কয়েক হাজার কোটি টাকার খরচের সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া দক্ষিণ বঙ্গের ঐতিহ্যবাহি সাতমাইল পশুহাট, বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদ, ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বাগআঁচড়া নাভারণ ও বেনাপোল সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন, বেলতলা আম বাজার সহ সার্বিক বিষয় চিন্তা করে বাইপাস সড়ক নির্মাণের চিন্তা করা হয়েছে। এছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হাইওয়ে রোডগুলো অতি জনবহুল চলাচলের স্থান এড়িয়ে বাইপাস ই করা হয়।
সরেজমিনে একটি জরিপে দেখা গেছে,বাগআঁচড়া এলাকার ৮০ ভাগ ব্যবসায়ী ও এলাকার সাধারণ জনগণ জামতলা টু বেলতলা বাইপাস সড়ক নির্মাণে সাধুবাদ জানালেও খুশি নয় সুবিবাদী মানববন্ধনের নেতৃত্ব দেওয়া ঐ মহলটি কারণ তাদের মাথায় ব্যাংক লোনের বোঝা ও অতিরিক্ত লোভ।
এলাকার অনেক মানুষ কে বলতে শোনা যায়, মহাসড়ক ঠিক রেখে যদি বাইপাস হয় তাহলে বাগআঁচড়া এলাকার যেমন শোভা বৃদ্ধি হবে তেমনি বাইপাসের পাসে গড়ে উঠবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সহ বিনোদন কেন্দ্র যেখানে কর্মসংস্থান হবে এলাকার অনেক মানুষের।
বাইপাস সড়ক বন্ধে মানববন্ধনের ছবি ও নিউজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পেলে বাগআঁচড়া এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা এই মানববন্ধনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে ও বিরুপ মন্তব্য করে কমেন্টে জাহিদ হাসান লিখেছেন সরকারের উন্নায়নের বাধাঁগ্রস্থ করতে এই মানব বন্ধন।
ব্যবসায়ী আবু সাঈদ লিখেছেন, হাজার বিঘা জমির চিন্তায় আছে, শত শত মানুষের যে ব্যবসা হারায় ভিক্ষা করবে সেটার খোজ কে নেবে, দোকান মালিকের ভাগ্য খুলে গেছে, জমি বাবদ টাকা পাবে কটি কটি টাকা ভাড়া এডভান্স ডাবলের ডাবল তাইলে ক্ষতি কাদের হবে, আর বাইপাস হলে তার পাশের জমি গুলার দাম বেড়ে কয়েক গুন হবে, আবার বলা হচ্ছে ফসলের দাম নেই ফসল আর করবো না শুধু সরকারের খুদ দরার জন্য কিছু লোক লেগে আছে।
আবু সাঈদ আরও লিখেছেন, সরকার যদি ক্ষতিপূরণ না দিতো তাইলে এসব দেশদ্রোহী স্বার্থপর মানুষ গুলা ঠিক লাইনে আসতো। রাস্তার জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষ এক্সিডেন্ট করে মারা যাচ্ছে, এই সমস্যা বলে শেষ করা যাবে না।
এলাকাবাসী ও দোকান মালিক বাবু মোল্ল্যা লিখেছেন বাইপাস সড়কে সরকারের বহু গুণ খরচ কম হবে, বাজারের ভেতর দিয়ে ছয় লেন রাস্তা করলে সরকারি বে সরকারি বহু প্রতিষ্ঠান ক্ষতি গ্রস্ত হবে, এবং রাজস্ব হারাবে, অধিক মূল্যে জমি অধিগ্রহণ ও ক্ষতি পুরন সহ নানাবিধ খরচ সামাল দিতে বহু গুণ খরচ বৃদ্ধি পাবে, সে-ই অর্থে বাইপাস সড়ক হলে সরকার ও জনগণ উভয় লাভবান হবে।
বাবু মোল্ল্যা আরও লিখেছেন, রাস্তা বাদেও দুইপাশে ১০০ ফুট জায়গা সংস্কার করলে যথেষ্ট কিন্তু এ দাবি কেউ তুলছে না বরং ছয় লেন এর কথা উল্লেখ করছে, যা বেশি ক্ষতির আসংখ্যা, আমাদের সবার উচিত ১০০ ফুটের দাবি তোলা।
ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক ফজলুর রাহমান লিখেছেন, বাজারে জমির ৭০ লাখ টাকা শতক চাই আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হওয়ার স্বপ্ন দেখছে বাগআঁচড়া এলাকাবাসী।
এমতাবস্থায় তিলকে তাল বানিয়ে নিজের আখের গোসাতে মানববন্ধনের নামে অযাচিত জ্বল ঘোলা করার পায়তারা করছে একটি মহল, যা মোটেও কাম্য নয় বলে মনে করেন এলাকার সচেতন মহল।