গাজার সুড়ঙ্গে সমুদ্রের পানি ঢোকাচ্ছে ইসরায়েল। প্রত্যক্ষদর্শীরাও জানিয়েছেন, বিভিন্ন জায়গায় ইসরায়েলের সেনারা এই কাজ শুরু করেছে।
গাজার সুড়ঙ্গে এখনও হামাসের নেতারা লুকিয়ে আছে বলে অভিযোগ ইসরায়েলের। তাদের বক্তব্য, পণবন্দীদেরও সেখানে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি হামাস যোদ্ধারা এখনও সুড়ঙ্গ থেকে লড়াই চালাচ্ছে বলে অভিযোগ আছে। ফলে লাগাতার গাজার একাধিক সুড়ঙ্গ লক্ষ্য করে আক্রমণ চালিয়েছে ইসরায়েল। এবার সেই সুড়ঙ্গে সমুদ্রের পানি পাম্প করে ঢোকানো শুরু হয়েছে। এভাবে সুড়ঙ্গে পানি ঢোকাতে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় লেগে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এর ফলে গাজার খাবার পানি সংক্রমিত হতে পারে।
ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ৩ মসজিদ ধ্বংস, ক্ষতিগ্রস্ত ৪০
আমেরিকার একাধিক কাগজ এই সংক্রান্ত খবর প্রকাশ করেছে। কিন্তু ইসরায়েল এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে গাজার প্রত্যক্ষদর্শীরাও জানিয়েছেন যে, বিভিন্ন জায়গায় ইসরায়েলের সেনা এই কাজ শুরু করেছে।
এদিকে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত পাশ হয়েছে। আমেরিকা, ইসরায়েল-সহ ১০টি দেশ এর বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। কিন্তু বাকি ১৫৩টি দেশ এ সিদ্ধান্ত সমর্থন করেছে। জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের কূটনীতিকেরা বলেছেন, এ এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। যেখানে এতগুলো দেশ এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করল।
ফিলিস্তিনের প্রতিনিধিদের বক্তব্য, গাজার লড়াই নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে যে সমবেদনা দেখা যাচ্ছে, তারই বহিঃপ্রকাশ এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। আমেরিকাকেও এবার তা বুঝতে হবে। মানুষের স্বর শুনতে হবে। তবে ইসরায়েল ফের জানিয়েছে, এখনই লড়াই থামছে না।
ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আরও শক্ত করেছে হামাস
চেক রিপাবলিক, অস্ট্রিয়া, প্যারাগুয়ের মতো দেশ এ দিন যুদ্ধবিরতির বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। তারা ইসরায়েলকে সমর্থন করেছে। অন্যদিকে জার্মানি এবং যুক্তরাজ্য-সহ ২৩টি দেশ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে।
এর আগে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেও একইরকমের একটি ভোট হয়েছিল। আমেরিকা সেখানে নিজের ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করেছিল। বস্তুত, সেই ভোটের পর এ দিন সাধারণ সভায় বিশেষ বৈঠকের ডাক দিয়েছিল আরব এবং মুসলিম দেশগুলো। তবে মনে রাখতে হবে, সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত সব দেশ আইনত মানতে বাধ্য নয়। কিন্তু এই সভার সিদ্ধান্ত একটি চাপ তৈরি করে। এ দিনের ভোট সে কাজে সমর্থ হয়েছে বলেই বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য।
সূত্র : ডয়চে ভেলে