জবি প্রতিনিধি:
জগন্নাথ ‘কলেজ’ আমলে স্থাপিত ফটকটি বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার পর এখনও মূল ফটক হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠার আঠারো বছর পেরিয়ে গেলেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) পরিচয় তুলে ধরার মতো নেই কোনো ফটক। অতি দ্রুত ফটক সংস্কার কিংবা দৃষ্টিনন্দন নতুন ফটক নির্মাণের কথা বললেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাজ কাগজে কলমেই আটকে আছে। জোড়াতালির ফটকটি অতিদ্রুত সংস্কার বা নতুনত্ব এনে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রবেশমুখে দৃষ্টিনন্দন একটি ফটকের দাবিও তুলেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, দেশসেরা বিদ্যাপীঠের জরাজীর্ণ ফটক কখনোই বাঞ্ছনীয় নয়। বর্তমান সময়ে একটি কলেজের ফটকও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে দৃষ্টিনন্দন। ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় যে ঐতিহ্য বহন তা ফটকে ফুটিয়ে তুলা প্রয়োজন। চাইলেই নতুন করে ফটকটি নির্মাণ করা সম্ভব। প্রশাসনের খামখেয়ালির কারণেই দীর্ঘদিন পার হলেও তা সম্ভব হচ্ছে না।
এদিকে ক্যাম্পাসে প্রবেশের চারটি ফটকের দুইটিই দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ও আরেকটি চলাচলের অপ্রয়োজনীয় হওয়ায় প্রবেশপথ হিসেবে এই একমাত্র ফটক দিয়েই শিক্ষার্থীদের চলাচল করতে হয়। এই মূল ক্যাম্পাসেই দৃষ্টিনন্দন প্রধান ফটক নির্মিত হলে ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সৌন্দর্য অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সদরঘাটগামী প্রধান সড়কেও নেই কোনো স্পিড ব্রেকার। মূল ফটক দিয়ে প্রবেশের রাস্তাটিও ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে। ফটকটির বিভিন্ন জায়গায় রঙ উঠে সিমেন্ট খসে পড়ে গেছে। আলোর জন্য থাকা লাইটগুলোর প্রায় সবগুলোই টিপ টিপ করে জ্বলে।
প্রকৌশল দপ্তর থেকে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকটি ভেঙে একটি বড় ফটক নির্মাণ ও ছাত্রীহলের প্রধান ফটক নির্মাণে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। পরিকল্পনা থাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ ফটকটি সংস্কার করা হয়নি। মূল ফটক ও ড্রয়িংয়ের কাজ প্রায় শেষের দিকে। আর্থিক বিষয়গুলোর সমাধান হলে কাজ শুরু হবে।
সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক দেখলে মনেই হয়না যে এটা একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক। অতি দ্রুত প্রশাসন যেন দৃষ্টিনন্দন ফটকটি নির্মাণ করে সেই দাবি জানাচ্ছি।
অর্থনীতি বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী হাসান মাহমুদ বলেন, মূল ফটকটি আমাদের জন্য একটি মৃত্যুফাঁদ। এখানে কোনো গতিরোধক নেই। ফটকের রাস্তা ভাঙা থাকায় বাইক নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করার সময় দূর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কায় থাকি।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটির সদস্যদের নিয়ে বেশ কয়েকবার মিটিং করেছি। নকশার কাজ প্রায় শেষ হয়ে গেছে। আর কিছু কাজ বাকি আছে। এখন অর্থ বরাদ্দের জন্য কাজটি আটকে আছে।