মনিরুজ্জামান খান পলাশবাড়ী(গাইবান্ধা)প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা ফুলবাড়ি ইউনিয়নের,ফতেউল্লাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীতে অধ্যয়নরত ছাত্রী রিমা সে টিউমার ক্যান্সারে আক্রান্ত বাঁচার আকুতি এই কোমলমতি শিশুর।
থেমে গেছে শিশুর দূরন্তপনা চোখে মুখে শুধুই আতংকের ছাপ এই কোমলমতি শিশুর। জানেনা তার কি হয়েছে। হাউমাউ করে কাঁদছেন মা -বাবা “
বাঁচাতে বাবা মায়ের আহাজারি সন্তান রোকসানা খাতুন রিমা (১০) লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, হৈ-হুলোড় অন্তছিল না। সারাক্ষণ ঘর-আঙ্গিনা থেকে ছুটে চলা আনন্দময় শৈশবে মাতিয়ে দিতো
বাবা-মা সহ প্রতিবেশীদের। এরই মধ্যে থমকে গেছে তার দূরন্তপনা গৃহবন্দি হয়ে পড়ছে ।
সন্তানের চিকিৎসা সেবার জন্য দেশও প্রবাশী ভাইদের প্রতি এবং দানশীলদের প্রতি আকুতি জানিয়েছে রুস্তম আলী শেখ ও কোহিনুর বেগম দম্পতি।
স্থানীয়রা জানান, ফতেউল্ল্যাপুর গ্রামের বাসিন্দা রোস্তম আলী শেখ পেশায় একজন অটোরিকশা চালক। স্ত্রী সন্তান নিয়ে কোন-মতো জীবিকা নির্বাহ তার। দাম্পত্য জীবনে একমাত্র কন্যা রিমাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিলো রোস্তমের। এরই মধ্যে দ্বিতীয় শ্রেণির এ শিশুটির শরীরে ৮ মাস আগে টিউমার ক্যান্সার ধরে পড়ে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মিজানুর রহমান শিবলী এ রোগটি সনাক্ত করেন। এতে চিকিৎসাসেবায় প্রায় পৌনে ২ লাখ টাকা ব্যয় করেছে রিকশা চালক বাবা রোস্তম আলী শেখ। ইতোমধ্যে নিজের গরু-ছাগল বিক্রি করাসহ বিভিন্ন এনজিও সংস্থার ঋণ নিয়ে চিকিৎসা চালানো হয়। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে একদম নিঃশ্ব হয়ে পথে বসেছে রোস্তম শেখ। এদিকে সন্তানের যতই দিন যাচ্ছে ততই অসুস্থতা বেশী দেখা যাচ্ছে।
এমতাবস্থায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছে শিশুটির দেশের বাহিরে চিকিৎসা দরকার। এতে ব্যয়বহুল খরচ করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছি পরিবারটির।
একমাত্র কোমলমতি শিশু মেয়ে চোখের সামনে ধুঁকে ধুঁকে যন্ত্রণা কাতরাচ্ছে।
সন্তানকে বাঁচাতে মানুষের কাছে সাহায্যের আকুতি রুস্তম কোহিনূর দম্পতির । তাই সহযোগিতায় যোগাযোগ রিমার বাবার ফোন নাম্বার ( রুস্তম)- ০১৭৫৭-৮৬২০৮১,
এদিকে, অসুস্থ শিশুর বাবা রোস্তম আলী শেখ কান্নাজড়িতে কন্ঠে জানান, অভাব-অনটনের সংসার তার। তাদের নুন আনতে পান্তা ফুড়ায়।
তিনি আরও বলেন, আমার একমাত্র অবুঝ মেয়ের দিকে তাকালে চোখের পানি আটকাতে পারি না। এখন টাকার অভাবে ওর চিকিৎসা সেবা বন্ধ হয়েছে। সবাই যদি মানবিক সহায়তা করতেন, তাহলে হয়তো সন্তানকে সুস্থতা করা সম্ভব হবে বলে জানান।