তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের জুড়ীতে পাগলা কুকুরের কামড়ে শিশু ও নারীসহ আহত হয়েছেন ১৫ জন।
শুক্রবার সকাল থেকে রাত অব্দি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
আহতদের মধ্যে ১২ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। তবে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আহত আরও ২ জন একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন বলে জানা যায়।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার এ দুই দিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার শিশুসহ কমপক্ষে ১৫ জনকে কামড়ে আহত করেছে একটি পাগলা কুকুর। শুক্রবার রাতে উপজেলার এম এ মুমীত আসুক চত্বরের টায়ার ব্যবসায়ী মো. আলমগীর হোসেন তার দোকানে কাজ করেছিলেন। হঠাৎ করে ওই পাগলা কুকুরটি ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেনকে আক্রমণ করে গলায় কামড় বসিয়ে দেয়। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এছাড়া ওই পাগলা কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন উপজেলার কামিনীগঞ্জ বাজারের মো. আব্দুস সবুর মাখন (৭০), বাছিরপুর গ্রামের কবির আহমদের মেয়ে মাইশা আক্তার (৯), ডালিম মিয়ার ছেলে সোহান আহমদ, হরিরামপুর গ্রামের সজিব (১৩), একই গ্রামের মনির মিয়ার শিশু পুত্র রাহিম (৪), চম্পকলতা গ্রামের শিশু মাহিন (৬), মোহাম্মদপুর এলাকার সোহাগ (১৩), শাহপুর এলাকার সাইফ আহমদ (১১), বড়লেখা উপজেলার শাহবাজপুর এলাকার শান্ত (১৪), জাঙ্গিরাই গ্রামের ইমরান আহমদ, একই গ্রামের জুবায়ের আহমদ (১০)। এছাড়া আরও বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মানুষের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি গবাদিপশুকেও ওই কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
কুকুরের কামড়ের আহতের খবরে বেশ কয়েকটি গ্রামজুড়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে শুক্রবার বিকেল থেকে রাত অব্দি উপজেলার এম এ মুমীত আসুক চত্বর এলাকায় যুবকরা লাঠি, কোচা নিয়ে কুকুরটিকে ধরার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এখবরে চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে রাত ১১টার দিকে বেশ কয়েকজন যুবক মিলে কুকুরটিকে আটক করেন। এসময় আরও কয়েকজন আহত হন। পরে কুকুরের কামড় থেকে বাঁচতে এটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়।
ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম বলেন, পাগলা কুকুরের কামড়ে আহত বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ওই কুকুরের কামড়ে আমাদের একজন ব্যবসায়ী আহত হয়ে বর্তমানে সিলেটে চিকিৎসাধীন আছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জুড়ী উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সমরজিৎ সিংহ বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে নারী, শিশুসহ অন্তত ১২ জন কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।