কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন : কনের বাড়িতে আসলেন বরসহ বরযাত্রায় ৪০ জন। কনে পক্ষ ডেকোরেশনসহ বর পক্ষের লোকজনকে সাধ্যমত দুপুরের আপ্যায়ন করালেন। আপ্যায়ন শেষে বিয়ে পড়ানোর সময় যৌতুকের টাকা না পেয়ে বিয়ে সম্পন্ন না করেই কনে ছাড়া বরপক্ষ ফেরত গেলেন।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এমন বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলায় রংছাতি ইউনিয়নে বটতলা গ্রামে মো. বাবুল মিয়া। এরআগে গত বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে তার ২০ বছর বয়সি মেয়ের আয়োজনে এমন ঘটনা ঘটে।
পুলিশের হস্তক্ষেপে উভয় পক্ষের সাথে আলোচনায় রাতের মধ্যে বিয়ের কার্য সম্পন্ন করে কনেকে তুলে আনতে সম্মত হন বরের বাবা।
বর হলেন- একই উপজেলার খারনৈ ইউনিয়নের বামনগাঁও গ্রামের মো. শরিফ মিয়ার ছেলে মো. হাসেন মিয়া (২৫)।
অভিযোগে জানা যায়, বরকে নগদ ৪০ হাজার টাকার দেওয়ার প্রস্তাবে উভয়পক্ষের সম্মতিতে বিয়ের দিন ধার্য্য করা হয়। সে মোতাবেক কনে পক্ষ ডেকোরেশনসহ বরযাত্রি ও মেহমানদের দুপুরের খাবারের আয়োজন বাবদ দুই লক্ষ টাকা খরচ করেন। বিয়ের দিন বরপক্ষের লোকজন খাবার শেষে বিয়ের পড়ানোর আগে ৪০ হাজার টাকার স্থলে ৭০ হাজার টাকা দাবি করেন। এ নিয়ে দুপক্ষের মাঝে কথা কাটাকাটি ও উচ্চ বাক্য বিনিময় হয়। একপর্যায়ে বিকেলে ৪টার দিকে বিয়ের কার্য সম্পাদন না করেই বরকে নিয়ে বরপক্ষের লোকজন ফেরত আসেন। বিয়ে ছাড়াই কনের মেহেদি রাঙ্গানো হাত থেকে যায় অধরা।
এ বিষয়ে কলমাকান্দা থানার ওসি আবুল কালাম জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগিরকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। পুলিশের হস্তক্ষেপে উভয়পক্ষ বিয়ে দিতে সম্মতি পোষন করেছে। আজ (শুক্রবার) রাতেই বিয়ের কার্য সম্পাদন করে কনেকে তুলে আনবে বলে কথা দিয়েছে বরপক্ষের লোকজন।
বরের বাবা শরিফ মিয়া বলেন, ঝামেলা মিটে গেছে। আমাদের লোকজন কনে আনতে তৈরি হচ্ছে। সন্ধ্যার দিকে বিয়ে পড়ানো শেষে রাতেই কনেকে বাড়িতে নিয়ে আসা হবে।