শার্শা প্রতিনিধিঃ
এতদিন ঘুষ হিসেবে টাকা বা বিভিন্ন দ্রব্যের কথা শোনা গেলেও এবার শোনা গেল টাকার সাথে গরুর মাংসের কথা। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে যশোরের শার্শার বাগআঁচড়া ইউনিয়নের ১নং কলোনি গ্রামে অভিযোগের তীর উঠেছে বর্তমান ইউ পি সদস্য আঃ মালেক ও ডাঃ আলীর বিরুদ্ধে।
স্থানীয় বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্তে কেন্দ্রে এমনই অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী তহমিনা খাতুন।
অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, ১০ মাস আগে শার্শা উপজেলার ইছাপুর পশ্চিম পাড়া গ্রাম ও একই উপজেলার ১নং কলোনি গ্রামের মিজানুর রহমানের সাথে বিবাহ সম্পন্ন হয়, ৩ মাস সংসার করার পরে বনিবনা না হওয়ার তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।
পরে, তহমিনাকে নেওয়ার জন্য আঃ মালেক ও ডাঃ আলীকে ধরে সে মোতাবেক তহমিনা রাজি হয়, এই সুবাদে আলী ডাঃ ও ইউপি সদস্য আঃ মালেক তহমিনার কাছে নগদ টাকা ও গরুর মাংস দাবী করে, পরে ৭কেজি মাংস ও ১৫০০টাকা নগদ এবং বিকাশ নম্বরের (০১৭৫৮৯৩২৭৬০) মাধ্যমে ২৫০০ টাকা আলী ডাঃ কে প্রদান করে।
পরবর্তীতে তহমিনা তাদের বিবাহ সম্পন্ন হওয়ার জন্য বিভিন্ন সময়ে ইউপি সদস্য আঃ মালেক ও ডাঃ আলীর সাথে যোগাযোগ করলে বিভিন্ন তালবাহনা, গালিগালাজ ও মোবাইল বন্ধ করে রাখার কথা অভিযোগে উল্লেখ করে। এ বিষয়ে তিনি প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠ বিচার দাবী করেছেন।
এবিষয়ে আলী ডাঃ কে মুঠোফোন জিজ্ঞাস করলে তিনি বলেন, হ্যাঁ আমরা টাকা ও মাংস নিছি তাতে সমস্যা কি? ঐ মহিলা বিবাহ বিচ্ছেদ হলে শলিশে বৈঠাকে তার স্বামীর কাছ থেকে আশি হাজার টাকা নেয়। কিন্তু পরবর্তীতে সে আবার স্বামীর ঘরে ফেরার জন্য আমার ও মালেক মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করলে আমরা খরচ খচ্চার জন্য তার কাছ থেকে ৭কেজি গরুর মাংস ও টাকা নিই যা দিয়ে খেচুরি রান্না করে খেয়েছি, এমন টাকা কেন নিলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন তাদের জোড়া লাগাবো তাই আমাদের ছেলে পিলে আছে তাদের তো খরচ খচ্ছা লাগে।
ইউপি সদস্য আব্দুল মালেকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এবিষয়ে জড়িত না, তাছাড়া এ বিষয়ে কিছুই জানি না। তবে ঐ মহিলার কাছ থেকে আলী ডাঃ মাংস ও টাকা নিয়েছে সেটা আমাকে ফোন করে জানিয়েছিল তাছাড়া তার সাথে আর কোন কথা হয়নি।
এ বিষয়ে বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, আইন অনুযায়ী ব্যাবস্হা গ্রহণ করা হবে।