হযরত আলী,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় রাস্তার সরকারি করাই গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে গাছ ব্যবসায়ি রেয়াজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
শনিবার দুপুরে উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের টিএনটি পাড়া এলাকা থেকে গাছগুলি কাটা হয়।
অভিযুক্ত রেয়াজ উদ্দিন উপজেলার বাড়াই পাড়া এলাকার বাসিন্দা। এছাড়া তিনি স্থানীয় কাঠ মিল ব্যবসায়ী।
জানা গেছে, উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের টিএনটি পাড়া এলাকায় অবস্থতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের ড্রাইভার হাবিব এর বাড়ির সামনে পাকা রাস্তার কয়েকটি গাছ কাটেন রেয়াজ উদ্দিন পরে স্থানিয়রা বাধা দিলে গাছ রেখে পালিয়ে যান রেয়াজ।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা কৃষক আব্দুল মালেক বলেন, ওই সড়কের যে গাছ গুলো কাটা হয়েছে। সে গুলো শতবর্ষী গাছ। আমরা জমিতে কাজ করার পর ক্লান্ত হলে ওই গাছ গুলোর নিচে বসে বিশ্রাম নিতাম। ওই গাছ কাটা কোন ভাবেই ঠিক করেনি।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের ড্রাইভার হাবিব বলেন, হামিদার চৌকিদারের উপস্থতিতে গাছটি কাটেন রেয়াজ। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে গাছটি রেখে চলে যান।
এ বিষয়ে টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ হামিদার রহমান বলেন, গাছ আমি কাটি নাই। গাছ কাটছে উপজেলা চেয়ারম্যনের ড্রাইভার ও রেয়াজ।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রেয়াজ উদ্দিন বলেন, গাছটি ঝুকিপূর্ন তাই গাছটি কেটে নিতে বলেন বাড়ির মালিক হাবিব। গাছটি জীবিত ও সরকারি সেই গাছ কাটার অনুমতি কোথায় পেলেন এমন প্রশ্ন করা হলে, ফোনটি কেটে দেয় রেয়াজ উদ্দিন।
এ বিষয়ে টংভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি একটু বাহিরে কাজে ব্যস্ত আছি। এ নিয়ে পরে কথা হবে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) নাজির হোসেন বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে জানা নেই। তবে টংভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সেলিম হোসেন ফোনে জানিয়েছেন যে একটি গাছ পরিষদে নিয়ে গেছে। সরকারি নিয়ম অনুয়াযী গাছটির ব্যবস্থা নেয়া হবে।